আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশ, যেন মৃত্যুপরী। প্রিয় স্বজনদের শেষ বিদায় জানাতে খোড়া হচ্ছে সারি সারি কবর।
২২ জুন (মঙ্গলবার) ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। এখনও কত মানুষ ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছে তার সঠিক হিসেব নেই। জীবিত কিংবা মৃত- নিখোঁজদের সন্ধ্যানে হন্যে হয়ে ঘুরছেন স্বজনরা। ধসে পড়া বাড়ি-ঘরে উদ্ধার কর্মীদের সাথে কাজ করছেন সাধারন আফগানরাও।
এরমধ্যেই শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। অন্যদিকে উদ্ধার কাজে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব। কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে উদ্ধার অভিযান। গোটা এলাকায় খাবার ও বাসস্থানের সংকট। চারদিকে আহত মানুষের আহাজারি- তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো।
পাকতিকা প্রদেশের এক বাসিন্দা সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে জানান, তিনি তার পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্প যখন আঘাত হানে তখন এক রুমে সাত সদস্য, একটায় পাঁচ জন অন্য একটা রুমে চার জন ছিলেন।‘
ওই নারীও আহত হয়ে এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে তালেবান সরকার। এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালের মুখপাত্র আবদুল কাহার বাখলি বলেন, দেশটির ৬০ শতাংশ মানুষই হত দরিদ্র। ভয়াবহ এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আর্থিকভাবে সাহায্য করার সামর্থ নেই তালেবান সরকারের।
পাকতিকা প্রদেশে জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, আফগানিস্তানের দুর্যোগ মোকাবিলায় সাহায্য সংস্থাগুলো পুরো শক্তি নিয়ে কাজ করছে।
https://www.facebook.com/bbsbangla.news/videos/712866963110696