সমুদ্রকন্যা কুয়াকাটায় ঘন ঘন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনায় ক্ষুব্ধ হয়ে খাবার হোটেলের মালিকেরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছেন। বুধবার (১৭ আগস্ট) সকাল থেকে এ ধর্মঘট চলছে।
হোটেল মালিকেরা জানিয়েছেন, খাবারের মান খারাপ এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের অভিযোগ এনে প্রায় সময়ই ভ্রাম্যমাণ আদালত হোটেল মালিকদের জেল-জরিমানা করছেন, যা যৌক্তিক নয়। এর প্রতিবাদে এ ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে কুয়াকাটা খাবার হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মো. সেলিম মুন্সী অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ঘোষণা দেন। এ সময় কুয়াকাটা খাবার হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কলিম মাহমুদ, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. আলমগীর হোসেনসহ অন্য হোটেলমালিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে হঠাৎ করে ধর্মঘট ডাকায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটকেরা। অনেকেই এই সমস্যার কারণে নিজ নিজ গন্তব্যস্থলে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কুয়াকাটা খাবার হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কলিম মাহমুদ বলেন,‘গত ১১ জুলাই থেকে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ব্যাপক আগমন শুরু হওয়ার পর থেকেই ভ্রাম্যমাণ আদালত আমাদের ওপর বিভিন্ন রকম হয়রানি শুরু করেছেন। একজন খাবার হোটেলের মালিক বিক্রি করেছেন ১০ হাজার টাকা অথচ তাকে জরিমানা করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। একজন হয়তো বিক্রি করেছেন ১৫ হাজার টাকা, তাকে জরিমানা করা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এভাবে একের পর এক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করায় প্রত্যেক হোটেলমালিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত রান্না করা খাবার পর্যন্ত ফেলে দিয়েছেন। একজন হোটেলমালিক এ নিয়ে কথা বললে তাকে হাতকড়া লাগিয়ে পর্যটন পুলিশের বক্সে নিয়ে বসিয়ে রেখে হেনস্তা করা হয়েছে। এতে আমরা মালিকেরা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে কোনো খাবার হোটেলই আর খোলা হবে না।’
কুয়াকাটা খাবার হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মো. সেলিম মুন্সী বলেন, ‘বাইরের পরিবেশ নোংরা হওয়ার অপরাধে একটি খাবার হোটেলকে দুবার জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের দাবি, ঠুনকো অজুহাত দেখিয়ে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাবে না। প্রতিটি রেস্তোরাঁর মালিকই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। অথচ ভ্রাম্যমাণ আদালত খাবার হোটেলকে সুসজ্জিত ও সৌন্দর্যবর্ধন করার জন্য বলেছেন, কিন্তু হঠাৎ করে তা সম্ভব নয়।’ সে জন্য সময় দিতে হবে বলে তিনি জানান।