সোমবার সকাল থেকেই গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঘরমুখী মানুষের ভিড় বেড়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এই রুটে যানবাহনের চাপও বাড়ছে।
ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এলাকায় গাড়ি চলছে ধীর গতিতে। আর বড়বাড়ি, কুনিয়া ও কলেজ গেট এলাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। গরুবোঝাই ট্রাক এবং নির্মাণকাজ চলায় বাড়ছে যানজটও। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও পরিবহনচালকেরা।
এদিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায়ও একই পরিস্থিতি দেখা গেছে। যানবাহনে বেশি ভাড়া আদায় ও পর্যাপ্ত যানবাহনের অভাবে লোকজনকে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অনেকেই ট্রাক-পিকআপ ভ্যানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন।
দূরপাল্লার যানবাহনগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করলেও ছোট যানবাহনগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই। যাত্রী, যানবাহনের চালক ও সহযোগীসহ কেউই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছেন না।
কোনাবাড়ী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর গোলাম ফারুক বলেন, আশপাশের এলাকায় যানজট নেই। তবে যানবহনের চাপ রয়েছে। দুপুরের পর অনেক কারখানা ছুটি হওয়ার কথা রয়েছে। কারখানাগুলো ছুটি হলে বিকেলে যানবাহনের চাপ বাড়বে কয়েক গুণ। তবে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।