fbpx

জনপরিসরে নারীর নিরাপত্তা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশে নারীর পোশাক নিয়ে আলোচনা সমালোচনা নতুন নয়। সম্প্রতি নরসিংদী রেলস্টেশনে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি আবারও জানান দিল দেশে নারীর নিরাপত্তার বিষয়টি। শুধু বাংলাদেশ নয়, জনপরিসরে নারীর নিরাপত্তা নিয়ে সারা বিশ্বেই উৎকণ্ঠা রয়েছে। তবে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের লিঙ্গ সমতার ইনডেক্সে বাংলাদেশ যত ওপরের দিকে যাচ্ছে, ততই এ ধরনের ঘটনা ও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

জনপরিসরে নারীর নিরাপত্তা নিয়ে তেমনই এক গবেষণাধর্মী কাজ করছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর তরুণদের প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলা, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রোগ্রাম এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

জনপরিসরে নারীর নিরাপত্তা বিষয়ে সমাজের সংশ্লিষ্ট অংশীজন, তরুণ সমাজ ও নাগরিকদের ধারণা, দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্য নিয়ে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনের আরও একটি লক্ষ্য হচ্ছে এ সম্পর্কিত বিষয়ে নীতিমালার সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে তা নীতিনির্ধারকদের অবহিত করা এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।

আর  এ কারণেই ‘জনপরিসরে নারীর নিরাপত্তা’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন ও গবেষণা কার্যক্রম শেষে এ বিষয়ে সিআরআই পলিসি ক্যাফেতে তরুণদের সঙ্গে আলোচনা করেন নীতিনির্ধারকরা।

তরুণদের সঙ্গে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের আজ ২৬ আগস্ট (শুক্রবার) এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান গুয়েন আলোচনায় অংশ নেন।

প্যানেল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন— নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর, বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্কের সভাপতি ডিআইজি আমেনা বেগম, বিআরটিএ (আরবান ট্রান্সপোর্ট) অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতার, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অনারারি সদস্য জেসমিন আরা বেগম এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন। এছাড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম রেকর্ডকৃত ভিডিও বক্তব্য প্রদান করেন।

২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর ‘জনপরিসরে নারীর নিরাপত্তা’ বিষয়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের যাত্রা শুরু হয়। এই ক্যাম্পেইনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন সিআরআই চেয়ারপারসন সজীব ওয়াজেদ জয়, সিআরআই ট্রাস্টি ও ভাইস-চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ এবং সিআরআই ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।

কার্যক্রম শুরুর পর থেকে মাঠ পর্যায়ের পাশাপাশি অনলাইন মাধ্যমেও ক্যাম্পেইনটি পরিচালিত হয়। মাঠ পর্যায়ের এই ক্যাম্পেইনে ‘ইয়াং বাংলা’র সঙ্গে সম্পৃক্ত ১০টি যুব সংগঠন বাংলাদেশের ১০টি জেলায়—ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, নড়াইল, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, নওগাঁ ও রাজশাহীতে কাজ করে। এই জেলাগুলোতে ২৯ জন প্রশিক্ষকের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত ২ হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবী, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী, নাগরিক সমাজ ও গণপরিবহন শ্রমিকদের সম্পৃক্ত করে অংশীজন সভার আয়োজন করে। এসব সভায় এক হাজার অংশীজন এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাড়ে ১১ হাজার মানুষ সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।

গত দুই বছরব্যাপী এই ক্যাম্পেইন কর্মসূচিটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply