ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাক চাপায় মারা যাওয়া মা,বাবা ও কন্যা সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী ঘাতক সেই চালককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার সাভার থেকে রাজু আহমেদ শিপন নামের ওই চালককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মঙ্গলবার এক বার্তায় জানিয়েছে র্যাব। পরে সংবাদ সম্মেলন করে শিপনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে বলেও র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সেদিন রাতেই জাহাঙ্গীরের বাবা মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু ত্রিশাল থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলাতেই চালক শিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রত্নার রেখে যাওয়া নবজাতকের দায়িত্ব নিয়েছেন তার দাদা ও দাদি। কিন্তু সেজন্য তারা সরকার ও বিত্তবানদের সহায়তা চেয়েছেন।
এর আগে, গত শনিবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ত্রিশালের কোর্টবিল্ডিং এলাকায় ট্রাকচাপায় অন্তঃসত্ত্বাসহ একই পরিবারের তিনজন নিহত হন। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা রত্নার গর্ভে থাকা কন্যা সন্তান রাস্তায় ভূমিষ্ট হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম (৪২), তার স্ত্রী রত্না বেগম (৩২) ও মেয়ে সানজিদা (৬)।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত রত্না বেগম সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। রত্নার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে মেয়ে সানজিদাসহ ত্রিশালের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসেছিলেন। রাস্তা পার হওয়ার সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই পরিবারের সবাই (স্বামী-স্ত্রী-মেয়ে) মারা যান।
তিনি জানান, শিশুটিকে সুস্থ করে তোলার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের সার্বক্ষণিক নজর থাকবে।
স্থানীয়রা জানান, রত্না আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সময় ট্রাকের চাপায় রত্নার গর্ভে থাকা সন্তান বের হয়ে আসে। নবজাতকটি কন্যাশিশু। তাকে উদ্ধার করে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতককে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানোর কথা বলেন।
হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার নজরুল ইসলাম জানান, শিশুটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শিশুটির চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা এই হাসপাতালেই রয়েছে।