বাংলাদেশে এডিস মশা ছিল না, ফ্লাইটে করে হয়তো এই মশা আমাদের দেশে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
রবিবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে তো এডিশ মশা ছিল না, ডেঙ্গু রোগ ছিল না। এটাতো বাইরে থেকে আসছে। ফ্লাইটে করে প্যাসেঞ্জার আসছিল, অথবা দুটি মশা আসছে। এগুলো কোনও না কোনও বাহিত (ডেঙ্গু) ছিল, তারা আরও মশা প্রজনন করেছে।’
সারাদেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ, দফতর/সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনা নিয়ে আয়োজিত বৈঠকের শুরুতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কম হলেও অস্বস্তিতে রয়েছেন তারা।
মন্ত্রী বলেন, সাধারণত সেপ্টেম্বরের পর থেকে ডেঙ্গু নিম্নগামী হয় এটা আমরা লক্ষ্য করেছি। প্রতিটি দেশে ক্লাইমেট চেঞ্জের কারণে এই রোগের একটা সম্পৃক্ততা আমরা দেখেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এ বছর অক্টোবর মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও এটা নিম্নগামী না।
তাজুল ইসলাম বলেন, মশার কোনো বর্ডার নেই। বাংলাদেশের তুলনায় আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেক ভয়াবহ। ভারতে গতকাল পর্যন্ত প্রায় দুই লাখের মতো আক্রান্ত। বিশেষ করে কলকাতায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি।
তিনি আরও বলেন, ১ অক্টোবর পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ২৮ হাজার ১৯৬ জন আক্রান্ত। আমার মনে হয় এই সংখ্যাটা এখন অনেক বেড়েছে। মালয়েশিয়ায় ৩৭ হাজার ৯৫০ জন। ইন্দোনেশিয়ায় ৯৪ হাজার ৩৫৫ জন। ফিলিপাইনে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫০ জন। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত (২৬ অক্টোবর) ৩৩ হাজার ৯২৩ জন। এটা আমাদের কাছে স্বস্তিদায়ক না।
ডেঙ্গু নির্মূল করার পথ কি আপনাদের কাছে নেই– এই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হচ্ছে বলেই তো অবস্থাটা অন্য দেশের তুলনায় ভালো। তাদের দেশেও তো ছিল না। এটা ইউরোপে ছিল। ফ্রান্সে দেখা গেছে যে একদিনে ৭/৮ হাজার লোক মারা গেছে৷ এরকম তথ্য আছে আমাদের কাছে।
তিনি আরও বলেন, এটা আমি বলছি যে হয়তো কোনও কারণে আসতে পারে। যেমন আমাদের হয়তো কোনও প্যাসেঞ্জার আসছে, হয়তো কোভিডযুক্ত, তাকে আইডেন্টিফাই করা যায়নি। অথবা কেউ জানে না সে এসে নিজে সুস্থ ছিল, কিন্তু রোগী সৃষ্টি করেছে। তেমনিভাবে ফ্লাইটে করে একটি মশা আসতে পারে।