প্রায় ১৮ কোটি টাকার মালামাল নিয়ে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ চ্যানেলে ডুবে গেছে এমভি হ্যাং গ্যাং-১ নামের একটি জাহাজ। পদ্মা সেতুর কাজে ব্যবহারের জন্য প্রায় এক হাজার ২০০ মেট্রিক টন লোহার মালামাল ছিল জাহাজটিতে।
গতকাল ১৩ জুলাই (মঙ্গলবার) সকালে চট্টগ্রাম থেকে মুন্সীগঞ্জে আসার পথে বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেলে কাছে এলে আরেকটি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এমভি হ্যাং গ্যাং-১ জাহাজটি ডুবে যায়। ডুবে যাবার সময় জাহাজে থাকা ১৩ জন স্টাফকে উদ্ধার করেছেন স্থানীয় জেলেরা।
এ বিষয়ে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, আরেকটি জাহাজের সাথে ধাক্কা লাগার কারণে পদ্মা সেতুর এক হাজার ২০০ মেট্রিক টন লোহার সামগ্রী নিয়ে ওই জাহজটি ডুবে গেছে। তবে চালক জাহাজটিকে চরের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পেরেছেন। যার কারণে জাহাজের মালামাল উদ্ধার করা যাবে। ইতিমধ্যে উদ্ধারের জন্য অন্য জাহাজ ও ক্রেন পাঠানো হয়েছে। শতভাগ মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশা করেন এই প্রকৌশলী।
তিনি জানান, ‘এসব মালামালের দায়িত্ব ঠিকাদারের ওপর বর্তায়। আর দুর্ঘটনাকবলিত হলে সেতু প্রকল্পের কাজে প্রভাব পড়তে পারে। তাই মালামালসহ ডুবে যাওয়া জাহাজের নিরাপত্তায় নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে।’
ডুবে যাওয়া মালামালের মধ্যে আছে রেলওয়ের পাশ দিয়ে যাওয়া ওয়াকওয়ে তৈরির টানেল ও অ্যাঙ্গেল। এসব মালামালের ফিনিশিং কাজও হয়ে গিয়েছিল। প্রায় দেড় লাখ টাকা টন হিসাবে এক হাজার ২০০ টন সামগ্রীর দাম পড়ে প্রায় ১৮ কোটি টাকা বলেও জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।
জানা যায়, গত ৩০ জুন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর অগ্রগতি ৯৪ ভাগ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮৭ ভাগ। সেতুর অবশিষ্ট কাজের মধ্যে রয়েছে রোডওয়ে স্ল্যাব, প্যারাপেট ওয়াল, স্ট্রিট লাইটিং ইত্যাদি। প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি আগামী বছরের জুনে চালু হওয়ার কথা রয়েছে।