fbpx

 ফুটপাতেও জমেনি আতর – টুপির কেনাবেচা  

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রমজান মাসে আতর-টুপি না কিনলে যেনো ঈদের আনন্দ অনেকটাই ফিকে হয়ে যায়। তবে এবার আনন্দ নেই ঐতিহ্যবাহী আতর-টুপি বাজারের ব্যবসায়ীদের মনে। বিক্রিতে ধস নামায় তারা ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন।

খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় হুট করেই দেশের আতর-টুপির ব্যবসা খাতে আঘাত আসে। ব্যবসায়ীরা করোনাভাইরাসের প্রথম ধাক্কা কিছুটা সামলে নিলেও সেকেন্ড ওয়েভের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন অনেকেই।

ব্যবসায়ীরা জানান, সারা বছর তারা দুই ঈদের অপেক্ষা করে থাকেন। কেননা এই দুই ঈদেই তাদের আয়ের সিংহভাগ অর্জিত হয়।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মার্কেটের সামনে ব্যবসায়ীরা আতর-টুপির পসরা সাজিয়ে বসে থাকেন। ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর থেকেই তাদের বিক্রি নেই। এখন আতর ও টুপির বিক্রির মৌসুম কিন্তু ক্রেতার দেখা নেই বলেও জানান তারা।

এক ব্যবসায়ী বলেন ,তাঁর দোকানের ভাড়া প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা। জমা টাকা যা ছিল সব শেষ হয়ে গেছে। অথচ এই মৌসুমে বিক্রিতে তাদের ভাটা পড়েছে।

আতর ও টুপির বড় বাজার বায়তুল মোকাররম মার্কেটে নয় একই চিত্র দেখা গেছে, কাটাবন মসজিদ মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড ও হাতিরপুল এলাকার ব্যবসায়ীদের সবার পরিস্থিতিও এমনই।

ইসলামি পণ্য ব্যবসায়ী সমিতি জানিয়েছে, বাংলাদেশে মহামারির আগে বছরে ২৫০ কোটি টাকার আতর, টুপি বিক্রি হতো। যার মধ্যে বছরে টুপির বাজার থেকে ১০০ কোটি টাকার বেশি এবং আতরের বাজার থেকে দেড়শ কোটি টাকার মতো বিক্রি হয়।

তবে ব্যবসায়ীরা গত বছরের করোনার ধাক্কা সামলে উঠতে পারেননি। তার ওপর আবার এখন চলছে করোনা দ্বিতীয় ঢেউ চলছে বলে বেচাকেনা দোকান নয়, ফুটপাতেও জমেনি আতর – টুপি বিক্রি। একদম নেই বলেই জানিয়েছে তারা।

শুধু বড় বড় করোনার আগে যা বিক্রি হতো তার ১০ ভাগের এক ভাগও এখন বিক্রি হচ্ছে না বলে ফুটপাত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

তারা বলেন, করোনা যখন ছিল না তখন প্রথম রোজায় ৫ হাজার টাকা বিক্রি হতো। এর পর আস্তে আস্তে কমে প্রতি দিন দুই থেকে তিন হাজার টাকা বিক্রি হতো। এখন মাত্র ৫ থেকে ৬ টাকা বিক্রি হয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply