লকডাউন এবং বৃষ্টি, দুই সংকটের মাঝে দাঁড়িয়ে রাজধানীর ফল ব্যবসায়ীরা। সবচেয়ে বড় সংকট, ফল পচনশীল পণ্য হওয়ায়, ধরে রাখা যায় না অনেকটা সময় পর্যন্ত। তাই পচে যাবার আগেই বিক্রি করতে পারলে বাঁচবে পুজিঁ, বাঁচবে ব্যবসা।
মধুমাসের ভরা মৌসুমেও প্রায় ক্রেতা শূন্য বলা যায় ফল বাজারগুলো। লকডাউনের চতুর্থ দিনে যারাই আসছেন বাজারে, দামাদামি করে অপেক্ষাকৃত কমদামে কেনার চেষ্টা করছেন। বেচাবিক্রি নেই, কাস্টমার ঘর থেকেই বের হয়না, তাই বেচাকেনাও হয়না বলে হতাশার কথা জানিয়েছেন ফল ব্যবসায়ীরা।
আম, কাঁঠাল, জাম, লিচু, লটকন, জামরুল সব রকমের মৌসুমী ফল আছে বাজারে। লকডাউনে জরুরি পণ্য পরিবহনে অনুমতি থাকলেও উৎপাদনস্থল থেকে রাজধানীর কাঁচা বাজারে আসতে ৩ থেকে ৪দিন সময় লেগে যাচ্ছে। ফলে বাজারে তোলার আগেই অনেক ফলে পচন ধরছে বলেও অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
থরে থরে সাজানো ফলের মধ্যে বেশিরভাগ আমে দেখা গেছে গাঢ় হলুদ রং। কিছু কিছু আবার কালো রং ধারণ করেছে। দু’একদিনের মধ্যে বিক্রি করতে না পারলে ফেলে দিতে হবে পুরো ঝুঁড়িতে থাকা সব আম। বাজার ঘুরে দেখা গেল, ব্যবসায়ীদের আহাজারি। লকডাউন, বৃষ্টি সর্বনাশ করে দিয়েছে তাদের।
এদিকে জাতীয় ফল কাঁঠালের বাজার আরও খারাপ। লকডাউনে বিধিনিষেধ অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫ টার মধ্যে বেচাবিক্রি শেষ করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিক্রি করতে না পেরে হতাশা দেখা যায় দোকানদারদের মধ্যে।
বাজারে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মতো ফল ব্যবসায়ীদের মাস্ক পড়ে কোনরকমে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা গেলেও, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিক্রি করার প্রতিযোগিতায় একেবারেই মানছেন না শারীরিক দুরত্ব।
ফল ব্যবসায়ীদের আরও ক্ষতি হবার আগে লকডাউন চলাকালীন বেচাকেনার সময় আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ফলের খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা।