বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ৪ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে ।
২ বছর আগের করা মামলার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে, দু বছর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চার চিকিৎসককে আসামি করে হত্যা মামলা নিয়েছে পুলিশ। ২০১৮ সালে কিডনি রোগি রওশনারা বেগমের অস্ত্রোপচারে দুটি কিডনি কেটে ফেলে এই চিকিৎসকরা। তারা হলেন- হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ফারুক হোসেন, চিকিৎসক মো. মোস্তফা কামালও আল মামুন।
২০১৮ সালে কিডনি জটিলতায় ভুগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎস নিতে আসেন রশনারা বেগম । প্রথমে অস্ত্রোপচার করে তার বাঁ পাশের কিডনি ফেলে দিতে হবে বলে জানান চিকিৎসকরা ।চিকৎসকের কথায় সায় দিয়ে অস্ত্রোপচারে রাজি হয় তার পরিবার। অস্ত্রোপচার করে তার ডান কিডনিও ফেলে দেয়া হয় । কিন্তু এতে সুস্থ হবার বদলে আরও অসুস্থ হয়ে পরেন রওশনারা বেগম । পরীক্ষা করে দেখা যায় তার দুটো কিডনিই নেই ।এবং দু মাসের মধ্যেই মারা যান রওশনারা বেগম । বিষয়টি অবগত হয়ে তার ছেলে চলচ্চিত্র পরিচালক রফিক শিকদার চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে শাহবাগ থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু কোন প্রমাণ না থাকায় তার এই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেননি পুলিশ ।রওশনারা বেগমের ময়নাতদন্তের জন্য অপেক্ষা করে পুলিশ ।২৭ নভেম্বর সকালে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসায় ঐ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নেয় পুলিশ ।
শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ মামুন অর রশিদ জানান, অস্ত্রোপচারের দু মাস পরে মারা যাওয়া ঐ নারীর ময়নাতদন্তে প্রতিবেদনে তার দুটি কিডনি ফেলে দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে । তার পরেই এই মামলা নেয়া হয়েছে ,এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে ।
তবে এর আগে মৃত রওশনারার ছেলে রফিক শিকদার নানা ভাবে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন এটা হত্যাকাণ্ড সে দ্রুত এই হত্যার বিচার চায় বলেও জানিয়েছে ।
তবে এ বিষয়ে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক নাজমুল করিম বলেন, ‘ময়নাতদন্ত রিপোর্ট যেহেতু এসেছে অস্ত্রোপচারে ভুল হয়েছে। এবং এটার মামলাও হয়েছে সে অনুযায়ী তদন্ত হবে।’