মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুটিন অবশেষে চূড়ান্ত করা হলো। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২১ সালের যারা এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থী, তাদের ক্লাস হবে সপ্তাহে ৬ দিন। আর আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের পরীক্ষার্থীদের দু’দিন ও অন্য শ্রেণির ক্লাস হবে সপ্তাহে ৪ দিন।
গতকাল মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের প্রধানদের সাথে বৈঠক করে এ রুটিন তৈরি করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে আলোচনা করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মৌলিক রুটিন তৈরি করা হয়েছে। এই মৌলিক রুটিন ধরে স্কুলগুলো তাদের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ কর্মতালিকা তৈরি করবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনাসহ রুটিন দু’একদিনের মধ্যে মাউশির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
প্রস্তাবিত নতুন ক্লাস রুটিন অনুযায়ী, ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সপ্তাহে শনি থেকে বৃহস্পতিবার দু’টি করে বিষয়ের চারটি ক্লাস নেওয়া হবে। আর ২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের শনি ও রবিবার দু’টি বিষয়ের চারটি ক্লাস হবে। এছাড়া, প্রতি সোমবার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস, মঙ্গলবার ৭ম শ্রেণির, বুধবার ৮ম শ্রেণির ও ৯ম শ্রেণির ক্লাস বৃহস্পতিবার নেওয়া হবে। মাধ্যমিকের সব স্তরে প্রতিদিন দু’টি বিষয়ের চারটি করে ক্লাস করানো হবে।
প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় আরও বলা হয়েছে, স্কুল-কলেজে প্রভাতী শিফট সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হয়ে ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ও দিবা ১২টা ৪০ মিনিটে শুরু হয়ে ৪টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলবে। একটি শিফট শেষে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজের জন্য এক থেকে দেড় ঘণ্টা বিরতি দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের আগের নিয়মে প্রতিটি ক্লাস ৪৫ মিনিটের পরিবর্তে ৪০ মিনিট করে নেওয়া হবে। যেসব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক স্তর যুক্ত রয়েছে, সেখানে এ সময়ের সাথে সমন্বয় করে ক্লাস রুটিন তৈরি করতে হবে। সব ছাত্রছাত্রীকে ক্লাসে তিন ফুট দূরত্ব মেনে বসাতে হবে।
এ বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের তিনটি করে বিষয়ে পরীক্ষা হবে। মূলত এসব বিষয়ের ক্লাসই এখন নেওয়া হবে।
করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে একযোগে সারাদেশব্যাপি খুলছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে হবে না। শুধু পিইসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাস করবে। বাকিদের একদিন সরাসরি শ্রেণীকক্ষে পাঠদান হবে। সপ্তাহের বাকি দিনগুলো অনলাইনে বা টেলিভিশনের মাধ্যমেই পাঠদান চলবে।