মা-মাটি-মানুষের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমা ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’। মুহাম্মদ কাইউমের পরিচালনায় এই সিনেমার সব কাজই শেষ হয়ে গেছে। জমা দেয়া হয়েছে সেন্সর বোর্ডে। সেখান থেকে ছাড়পত্র মিললেই মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
এ সিনেমায় বাংলাদেশের ভাটি অঞ্চলের কৃষিজীবী মানুষের জীবন সংগ্রামের অল্প উঠে এসেছে। এর কাহিনী ও চিত্র নাট্য লিখেছেন পরিচালক নিজেই।
তিনি বলেন,’ দীর্ঘ দিন হাওর অঞ্চলে ঘুরে বেড়িয়েছি। তখনই তাদের জীবন সংগ্রাম আমার নজরে আসে। মনে হয়েছে বাংলাদেশের ছয়টা-সাতটা জেলায় যে হাওর অঞ্চল বিস্তৃত হয়ে আছে, তা অন্য এলাকা থেকে আলাদা। এখানের প্রান্তিক কৃষিজীবী মানুষে জীবন নিয়েই সিনেমার গল্প।‘
ব্যক্তি মানুষকে কেন্দ্র করে সিনেমার গল্প আগালেও এটা মূলত জনপদের গল্প, জনগোষ্ঠীর গল্প।
‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ সিনেমাটি বিভিন্ন সময়ে প্রায় তিন বছর ধরে শুটিং হয়েছে। এত দীর্ঘ সময় শুটিং হওয়ার কারণ জানতে চাইলে পরিচালক মুহাম্মদ কাইউম বলেন, ‘হাওর অঞ্চলে প্রতি মাসে মাসেই প্রকৃতির পরিবর্তন দেখা যায়। এই পরিবর্তনটা ধরতে না পারলে সিনেমার চিত্রটা ফুটে উঠবে না। সেই জন্যই তিন বছর ধরে কাজ করা।‘
তিনি জানান এই ধরণের কাজে বড় বাজেট দরকার হয়। তবে বাণিজ্যিক না হওয়ায় এমন ছবিতে অর্থ লগ্নি করার মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। তাই কম টাকার মধ্যে যতটা ভাল কাজ করা যায়, তার সব চেষ্টাই করা হয়েছে।
সিনেমাটিতে দুটি গান রয়েছে, দুটিই প্রচলিত। এর একটা হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান। আর একটা রাধারমণ দত্তের ধামাইল গান। সংগীত পরিচালনা করেছেন ভারতীয় শিল্পী সাত্যকি ব্যনার্জি। স্থানীয় ধামাইল শিল্পীরাই গেয়েছেন এই গান।
সিনেমার মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছে জয়িতা মহলানবিশ, উজ্জ্বল কবির। রয়েছেন আবুল কালাম আজাদ, সুমি ইসলাম, বাদল শহীদ, সামিয়া আক্তারসহ আরও অনেকে।