যে কোন স্বীকৃতিতেই উদ্যমী হয়ে ওঠে মানুষ, সমৃদ্ধ হয় তার উদ্যোগ। বিবিএস ক্যাবলস বিশ্বাস করে, সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা পার্টনাররাই প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। সেই প্রাণে স্বস্তি আছে, শক্তিশালী ব্র্যান্ডের তকমা পেয়েছে বিবিএস ক্যাবলস।
দেশের প্রথম সারির ক্যাবলস কোম্পানি বিবিএস ক্যাবলসের ১০ম ডিলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো ২৯শে মে রবিবার রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে। সম্মেলনে অংশ নিতে সারাদেশ থেকে আসেন প্রায় এক হাজার ডিলার।
সারাদেশের চার হাজার ডিলারের মধ্যে তিনজন ডিলারকে সর্বোচ্চ সম্মাননা দেয় বিবিএস ক্যাবলস। সর্বোচ্চ সেলস টার্গেট পুরন করেই ইউরোপ ভ্রমণের সুযোগসহ প্রায় ৫০০ জন ডিলার অর্জন করেছেন নানা পুরষ্কার।
পুরষ্কারপ্রাপ্তরা জানিয়েছেন, পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করার কারণেই তারা তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রায় বিক্রয় করতে পেরেছেন। বিবিএস ক্যাবলসের মানের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে, ভবিষ্যতে বিক্রির মাত্রা আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব।
ন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ডে সেরা তিনজন ছাড়াও রাজধানীসহ সারাদেশের জোনভিত্তিক সর্বোচ্চ সেলারদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্যাটাগরিতে পুরষ্কৃত করা হয়েছে। পুরস্কার হিসেবে তারা পেয়েছেন ঢাকা টু থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই টু ঢাকা ট্যুরের সুযোগ। বিবিএস ক্যাবলসের পথচলাকে আরও মসৃন করতে আগামীতে একসাথে পথ চলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
২০১১ সালের ১৪ই এপ্রিল যাত্রা শুরু করে বিবিএস ক্যাবলস। ১১ থেকে ১২ বছরে পদার্পণের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রত্যেক কর্মীকে পাশে থাকবার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার বদরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘সরকারের অনেক মেগা প্রজেক্টের অংশীদার বিবিএস ক্যাবলস। পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে পেরেছে বলেই বিভিন্ন প্রজেক্টের অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বিবিএস ক্যাবলস।’
ইঞ্জিনিয়ার বদরুল হাসান জানান, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নির্মাণাধীন থার্ড টার্মিনাল, চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু টানেল, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র, রাজধানীতে নিমার্ণাধীন এক্সপ্রেসওয়ে, এসব প্রজেক্টের পরিচালকরাই বিবিএস ক্যাবলসকেই বেছে নিয়েছেন, কারণ বিবিএস ক্যাবলস মানের বিষয়ে আপোষ করে না।’
দেশের সেরা তিন ক্যাবলস কোম্পানির মধ্যে বিবিএস ক্যাবলস অন্যতম। বিবিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার সারাদেশ থেকে আসা ডিলারদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘টিম ওয়ার্ক, সততা, পরিশ্রম এবং গুণগত মান ১১ বছরে প্রতিষ্ঠানকে আজকের এই সেরা অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ের বিক্রেতারা আমাদের কাছে ডিলার না, আমরা তাদেরকে আমাদের অংশীদার মনে করি। তারা না থাকলে আমরা এতদূর আসতে পারতাম না। তাই আমি চাই না কেউ আমাদের ছেড়ে চলে যাক। আমরা একসাথে কাজ করলে আগামীতে আমাদের প্রতিষ্ঠান এক নম্বরে থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
অনুষ্ঠানে মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া চারজন ডিলারের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। একইসঙ্গে এসব পরিবারের সন্তানদের বিবিএস গ্রুপে চাকরির নিশ্চয়তা দেন চেয়ারম্যান।
প্রতিষ্ঠানের ক্রমবর্ধমান সমৃদ্ধি ডিলারদের পরিবারকেও করবে আরও সমৃদ্ধ। মেধা অনুযায়ী ডিলারদের সন্তানদের দেওয়া হবে বৃত্তি, সেই নিশ্চয়তাও দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার।
সেলস সেন্টার গড়ে তোলায় সেঞ্চুরি করেছে বিবিএস ক্যাবলস। অনুষ্ঠানে তারই আনন্দ উদযাপন করা হয় কেক কেটে।
সম্মেলনের শেষ পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গান গেয়েছেন দেশের নামী শিল্পীরা। জমকালো পুরো অনুষ্ঠানটি লাইভ সম্প্রচার করা হয় বিবিএস ক্যাবলসের ফেসবুক পেইজে।