fbpx

পানি বাড়ছে নদ-নদীতে, আরও এলাকা প্লাবিত

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশের পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ বড় নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়ছেই। এতে করে প্লাবিত হয়েছে দেশের উত্তরবঙ্গসহ বিভিন্ন এলাকা। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ তাদের দুর্ভোগ চরমে।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল নয়টায় লালমনিরহাট জেলার দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বাড়ায় এদিন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী প্রায় ১৫টি চর এলাকা প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ১০ হাজার পরিবার। আর সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো।

তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সব জলকপাট (৪৪টি) খুলে রেখে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানান,পাউবোর নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা

এছাড়া উত্তরবঙ্গের কুড়িগ্রাম জেলার বড় নদী ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বেড়েছে। গতকাল বিকালে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর ফলে জেলার তিন শতাধিক চরের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার ৪টি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ইউনিয়নগুলোর চরাঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী।

সিরাজগঞ্জে সবকটি পয়েন্টে যমুনার পানি বেড়েছে। সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্টে গতকাল সন্ধ্যায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ইতিমধ্যে ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার ৩৬টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে।

পদ্মা নদীর পানি আবার বাড়ায় রাজবাড়ীর প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ফরিদপুর সদরের চারটি, চরভদ্রাসনের চারটি, সদরপুরের দুটি এবং ভাঙ্গার একটি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। জেলার ১১টি ইউনিয়নের ২৩৯টি গ্রামের ১৯ হাজার ৮০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply