fbpx

বগুড়ায় মোটর মালিক গ্রুপের দু’পক্ষের হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বগুড়ায় মোটর মালিক গ্রুপের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে।

৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুই দফায় এই সংঘাতের ঘটনা ঘটে, এক পক্ষ কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে আরেক পক্ষের ওপর হামলা করা হয়। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২০ থেকে ২৫টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপে দুটি পক্ষ আছে এর একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম ওরফে মোহন। তিনি মোটর মালিক গ্রুপের সাবেক আহ্বায়ক। আরেক পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহ আকতারুজ্জামান। তিনি মোটর মালিক গ্রুপের সর্বশেষ কমিটির সভাপতি। তাঁর পক্ষে আছেন সদর উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম। তিনি মোটর মালিক গ্রুপের সর্বশেষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক। এই কমিটি নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও বিচারাধীন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মঞ্জুরুলের পক্ষের চার শতাধিক ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে বগুড়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল চারমাথার মোটর মালিক গ্রুপের কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নিতে আসেন। সেখানে তাঁরা পাঁচ-ছয়টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় ভাঙচুর করেন। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম। তিনি মঞ্জুরুলের প্রতিপক্ষ শাহ আকতারুজ্জামানের পক্ষের।

আমিনুল ইসলামের শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের মালিক। ওই প্রতিষ্ঠানের কাউন্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন তাঁরা। এ সময় সাতটি বাস ভাঙচুর করা হয়। আমিনুলের পক্ষে থাকা ৩০ থেকে ৪০ জন এ সময় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ তখন তাঁদের সরিয়ে দেয়। প্রথম দফার এই হামলা ও সংঘর্ষের সময় রমজান নামে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কনস্টেবল ছুরিকাহত হন। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ভিডিও ধারণ করতে গেলে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসনের ওপর হামলা করা হয় ও ক্যামেরা ভাঙচুর করেন হামলাকারীরা।

এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূইঞা। প্রথম দফায় ১৫ থেকে ২০টি ফাঁকা গুলি চালিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply