অভিনেত্রী শিমুকে হত্যার ভয়ানক বর্ণনা দিলেন তার স্বামী নোবেল। শিমু হত্যা মামলায় ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে উঠে এসেছে এই ভয়ানক বর্ণনা।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ‘শিমুকে ধর, ওকে আজ মেরেই ফেলব’- বন্ধু ফরহাদকে এই নির্দেশ দেন নোবেল। তার কথামতো শিমুকে ধরতে গেলে ফরহাদকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন শিমু। এরপর শিমুর গলা ধরতে যান নোবেল। শিমু তাকেও ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। পরবর্তীতে তারা দুজন (নোবেল, ফরহাদ) একসঙ্গে শিমুর ওপর চড়াও হন। ফরহাদ শিমুর গলা চেপে ধরেন আর নোবেল ধরেন দুই হাত। ফ্লোরে পরে যান শিমু। স্ত্রীর (শিমু) গলায় পা দিয়ে দাঁড়ান নোবেল।একপর্যায়ে প্রস্রাব হয়ে যায় শিমুর এবং ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে তার দেহ। পৃথিবী ভ্রমণ শেষ করেন শিমু।’
এরপর বস্তায় ভরে শিমুর লাশ গুম করা হয়। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি সকালে কেরাণীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকা থেকে শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিমুকে হত্যা করার অভিযোগে তার স্বামী নোবেল ও বন্ধু ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ।
কাজী হায়াতের ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন শিমু। প্রায় ২৫টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়াও অর্ধশতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন।