fbpx

অহেতুক দুশ্চিন্তা করছেন? কী করলে থাকবেন সুস্থ?

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

অহেতুক দুশ্চিন্তার সূচনা হতে পারে যেকোনো জায়গা থেকেই। আর তার প্রভাব পড়ে দৈনন্দিন জীবনে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগে ভুক্তভোগী হয় ব্যক্তির মন ও শরীর। তাই শরীর ও মন যাতে রিলাক্সড থাকে, সেটা চেষ্টা করা উচিত। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় আপনার জীবনে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যেমন-

-কাজের পরিমাণ কমে যায় 

_ ঘুম কমে যাওয়া

– অলসতা বেড়ে যাওয়া

– খাওয়া রুচি কমে যাওয়া

জীবন স্বাভাবিক করতে চাই কিছু ‘টিপস’।

অহেতুক দুশ্চিন্তা করছেন? কী করলে থাকবেন সুস্থ?

ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলুন 

 

ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলুন: মনের মধ্যে ক্ষোভ জমা করে রাখার অভ্যাস কখনোই হৃদযন্ত্রের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ক্ষমা করার পরিবর্তে ক্ষোভ জমা করে রাখলে মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং সেই সঙ্গে হৃদ্ররোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ে।

অহেতুক দুশ্চিন্তা করছেন? কী করলে থাকবেন সুস্থ?

সমস্যার সমাধান খুঁজুন

সমস্যার সমাধান খুঁজুন: বারবার একই সমস্যার কথা না চিন্তা করে সমাধানের পথ খুঁজুন। সমস্যার কথা ভেবে কখনো সমাধান আসে না। বরং যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে, ভেবে সমাধান নিয়ে ভাবলেই বরং চিন্তামুক্ত হওয়া সহজ। সমস্যা কখনো মানসিক প্রশান্তি আনতে পানে না। তাই সমস্যা থেকে দ্রুত পরিত্রাণের উপায় বের করতে হবে।

অহেতুক দুশ্চিন্তা করছেন? কী করলে থাকবেন সুস্থ?

আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন

আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন: অনেক সময়ই অহেতুক দুশ্চিন্তা মানসিক চাপের সৃষ্টি করে, যা থেকে খিটখিটে মেজাজ কিংবা রেগে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। তখন সে রাগ গিয়ে পড়তে পারে নিরীহ কারও ওপর। সে কারণে এ সময়ে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন। নইলে সামান্য রাগ হতে পারে আপনার অন্য কোনো সময়ের দুশ্চিন্তার কারণ।

অহেতুক দুশ্চিন্তা করছেন? কী করলে থাকবেন সুস্থ?

ডায়েরি লিখুন

ডায়েরি লিখুন: আপনি হয়তো কখনোই ডায়েরি লেখেননি। যে বিষয়টি আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে, মানসিক চাপের কারণ হচ্ছে সেটি একটি ডায়রিতে লিখুন। পাশাপাশি আপনি কী চান বা কী করলে আপনার ভালো লাগত সেই বিষয়টিও লিখুন। ডায়েরি লেখার এই অভ্যাসটি মানসিক চাপ কমাতে অনেকটা সাহায্য করবে আপনাকে।

অহেতুক দুশ্চিন্তা করছেন? কী করলে থাকবেন সুস্থ?

নির্ভুল হওয়ার চিন্তা বাদ দিন

নির্ভুল হওয়ার চিন্তা বাদ দিন: যারা সাধারনণত টাইপ ‘এ’ চরিত্রের মানে সবসময় শুদ্ধ চরিত্রের অধিকারী হতে চান তারাই মূলত হৃদরোগে বেশি ভোগেন। এ ধরনের অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে মনোভাব শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিচরিত্রে শত্রুতার মনোভাব তৈরি করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হওয়ার মূল কারণ যা পরে হৃদরোগ ডেকে আনে। তাই সবসময় ভালো চিন্তা করুন এবং সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন।

অহেতুক দুশ্চিন্তা করছেন? কী করলে থাকবেন সুস্থ?

নিজেকে ব্যস্ত রাখুন

নিজেকে ব্যস্ত রাখুন: দুশ্চিন্তাকে মাথা থেকে দূরে রাখতে হলে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। আপনার মস্তিষ্ক এবং হাত ব্যস্ত থাকে এমন কোন কাজ করুন যেমন গেম খেলুন, বই পড়ুন বা কোন হস্তশিল্প তৈরি করুন। আপনি কোনো কাজ না করে অলসভাবে শুয়ে বসে থাকলে হতাশা আর দুশ্চিন্তা আপনাকে ঘিরে ধরবে- এটাই স্বাভাবিক। তাই যে কোনো প্রোডাক্টিভ কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।

অহেতুক দুশ্চিন্তা করছেন? কী করলে থাকবেন সুস্থ?

মেডিটেশন

মেডিটেশন: মানসিক চাপ দূর করে মনকে শান্ত করার জন্য মেডিটেশন একটি অত্যন্ত কার্যকরী ব্যায়াম। কার্নেগী মেলন বিশ্ববিদ্যালয় এর এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ২৫ মিনিট করে টানা ৩ দিন মেডিটেশন করলে তা হতাশা এবং দুশ্চিন্তা অনেকখানিই দূর করতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত ইয়োগা করেন তারা তুলনামূলক কম শারীরিক সমস্যা বা প্রদাহে ভোগেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply