fbpx

আওয়ামী লীগের আমলেই কেবল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

শুধু আওয়ামী লীগের আমলেই বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও নিরাপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করাই আমার সংগ্রাম। আমি সংগ্রামের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছি।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে ক্লারিজ হোটেলের মিটিং রুমে শনিবার বিবিসির সাংবাদিক লরা কুয়েন্সবার্গকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। রবিবার বিবিসি বাংলায় এটি প্রচারিত হয়।

সাক্ষাৎকারে লারা কুয়েন্সবার্গ বলেন, জাতিসংঘ ও রানির হাইকমিশনার আপনার কাছে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘ বাংলাদেশে গুমের বিষয়ে অভিযোগও এনেছে। এ বিষয়ে আপনি কী বলতে চান?

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে কেউ যে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে পারে। কিন্তু তা কতটুকু সত্য তা আপনাকে বিচার করতে হবে। তার আগে কোনো মন্তব্য করা উচিত না। আমি আপনাকে বলেছি যে একটা দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ শাসন করেছে সেনাবাহিনী।। তারা রাজনৈতিক দল গঠন করেছে। কখনো মানুষের কাছে গিয়ে নিজেদের জন্য ভোট চায়নি। তারা কেবল ক্ষমতায় থাকার জন্য সেনাবাহিনী ও প্রশাসনকে ব্যবহার করেছে। আওয়ামী লীগের আমলেই কেবল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। এটা আমার সংগ্রাম। আমি সংগ্রামের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করেছি।’

গুমের বিষয়ে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনার দেশে বা অন্য দেশগুলোতে প্রতিবছর কত মানুষ হারিয়ে যায়? আমি মনে করি আপনার আগে উচিত সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা। এরপরেই অভিযোগ তোলা উচিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌‘১৯৭৫ সালে আমার বাবাকে (জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) হত্যা করা হয়। তিনি তখন দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং আপনি জানেন যে আমার পুরো পরিবার, আমার মা, আমার তিন ভাই, দুই ভ্রাতৃবধূ, পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ মোট ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। তারপর থেকে ২১ বছর ধরে, যে দেশটি বারবার অভ্যুত্থান প্রত্যক্ষ করেছে। প্রায় ২০ বার অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে এবং প্রতিবার রক্তপাত হয়েছে।

শেখ হসিনা বলেন, ‘সেখানে গণতন্ত্র ছিল না, গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না, তাই আমি আমার দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছি।’

লরা কুনেসবার্গ বাংলাদেশের কাছে কমনওয়েলথের গুরুত্ব কতটা, জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই (এর মূল্য অনেক বেশি), যখন আমরা একসঙ্গে থাকি, সেখানে অনেক সুযোগ থাকে, তাই এটা ভালো এবং গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের একটা জায়গা আছে, যেখানে আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করতে পারি। কিছু ধারণা গ্রহণ করতে পারি বা দেশ বা জনগণের জন্য কিছু ভালো কাজ করতে পারি। তাই আমার মনে হয় এটা ভালো।’

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্মৃতি নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এটি ১৯৬১ সালে যখন তিনি (রানি) তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সফর করেছিলেন এবং তিনি তাকে (ব্যক্তিগতভাবে প্রথমবার) দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ‘তখন আমরা খুব ছোট এবং আমার বাবার (বঙ্গবন্ধুর) অফিসে গিয়েছিলাম, কারণ, আমরা জানতাম যে তিনি সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাই আমরা সবাই, পুরো পরিবার, দুরবিন নিয়ে জানালায় অপেক্ষা করেছি। ফলে আমরা তাকে আরও স্পষ্টভাবে দেখতে পেয়েছি।’

প্রয়াত রানির সঙ্গে সুন্দর স্মৃতির কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার (রানি) চমৎকার স্মৃতিশক্তি ছিল এবং তিনি আমাকে না দেখলে হাসিনা কোথায় ছিলেন বলতেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহামান্য যুক্তরাজ্যের একজন রানি ছিলেন, এতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে তিনি কমনওয়েলথেরও একজন নেতা। কমনওয়েলথ দেশগুলোর একজন সদস্য হিসেবে তিনি আমাদের কাছে অনেক মূল্যবান ছিলেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রয়াত রানি প্রায় ৭০ বছর ধরে রাজত্ব করেছেন। আমি মনে করি যে এই বিশ্বের জন্য তিনি কেবল একজন রানিই ছিলেন না, তিনি একজন অত্যন্ত স্নেহময় ও মাতৃত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বও ছিলেন। যখনই আমি তার সঙ্গে দেখা করেছি, আমি এটি অনুভব করেছি।’

তথ্যসূত্র: বাসস 

Advertisement
Share.

Leave A Reply