তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কৃষ্টি-সংস্কৃতি-সাহিত্যে আমরা বাঙালিরা অনেক দেশের চেয়ে উন্নত। উপমহাদেশেও অনেক ভাষাভাষীদের চেয়ে আমাদের সংস্কৃতির ভিত অনেক গভীরে প্রোথিত। তাই আমরা কাউকে অনুকরণ করবো না। বরং এই আকাশ-সংস্কৃতির যুগেও আমরা এমনভাবে সংস্কৃতি চর্চা করবো, যাতে আমরা অনুকরণীয় হয়ে উঠতে পারি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কালচারাল জানালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ-সিজেএফবি আয়োজিত ‘২১তম পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এবং বিশেষত প্রধানমন্ত্রী নিজে বাঙালি সংস্কৃতির লালন ও বিকাশে একান্তভাবে অগ্রণী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই দেশ জুড়ে সংস্কৃতি চর্চার একটা জোয়ার বয়ে যাক। আগামী প্রজন্মকে আত্মকেন্দ্রিকতা ও মৌলবাদের দিকে ঝুঁকে পড়া থেকে রক্ষায় এর বিকল্প নেই।
সম্মাননার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একটি পুরস্কার একজন শিল্পীর জীবন বদলে দিতে পারে। শিল্প-সংস্কৃতির লালন-পালন ও পৃষ্ঠপোষকতায় পুরস্কার একটি বড় ভূমিকা রাখে, উৎসাহ যোগায়। সংস্কৃতি বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন সিজেএফবি দুই দশক ধরে এ বিষয়ে ভূমিকা রাখছে এ জন্য তাদেরকে এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদেরও ধন্যবাদ জানাই।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে গ্লোবাল টেলিভিশনের চেয়ারম্যান মো: হারুনুর রশীদ, স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ই-কমার্স সংস্থা কিউকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: রিপন মিয়া, অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক অন্তর শো বিজ চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী এবং আয়োজক সিজেএফবি’র পক্ষে সভাপতি তামিম হাসান, প্রধান উপদেষ্টা এনাম সরকার, সাধারণ সম্পাদক খালেদ আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
অভিনেতা-নির্দেশক তারিক আনাম খান আজীবন সম্মাননা এবং সংগীত শিল্পী বেবী নাজনীন, অভিনেত্রী শমী কায়সার, চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা, অনুষ্ঠান সংগঠক স্বপন চৌধুরী এবং সাংবাদিক মোর্শেদ নোমান বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হন, পদ্মাপুরাণ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা নির্মাতার পুরস্কার পান নির্মাতা রাশিদ পলাশ। পাশাপাশি নির্বাচিত সংগীত ও অভিনয় শিল্পীসহ সকলের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মন্ত্রী।