fbpx

আগস্টে আওয়ামী লীগের মাসব্যাপী কর্মসূচি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

শুরু হয়েছে শোকাবহ আগস্ট মাস। ১৯৭৫ সালের এ মাসেই বাঙালি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আগস্ট জুড়ে প্রতিদিন কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতীম ও সমমনা সংগঠনগুলো।

রবিবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত কর্মসূচি জানানো হয়েছে।

কর্মসূচি অনুযায়ী রবিবার রাত ১২টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়ক ধরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর অভিমুখে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের আলোর মিছিল এবং মহিলা লীগের ১৫ই আগস্টের শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করছে মহিলা লীগ। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী কর্মসূচি।

মাসের প্রথম দিন সকালে কৃষক লীগ আয়োজিত রক্তদান ও প্লাজমা সংগ্রহ কর্মসূচি পালিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২ আগস্ট সকাল ১০টায় ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটি। বিকাল ৩টায় উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করবে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।

৩ ও ৪ আগস্টের কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়নি।
ধানমণ্ডিতে আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে ৫ আগস্ট সকাল ৮টায় শ্রদ্ধার্ঘ্য অপর্ণ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করবে আওয়ামী লীগ। সকাল সোয়া ৯টায় বনানীতে তার কবরে শ্রদ্ধা জানানো হবে।

সকাল সাড়ে ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে শস্য বীজ বিতরণ করবে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটি। সকাল ১১টায় রাজধানীতে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

এছাড়া ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘তারুণ্যের জেগে ওঠার নাম শেখ কামাল’ শীর্ষক আলোচনা সভা করবে যুবলীগ। বিকাল ৫টায় টায় মৎস্যজীবী লীগের উদ্যোগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির আয়োজনে আরেকটি আলোচনা সভা হবে।

৬ আগস্ট শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় জাদুঘরের ‘নলিনীকান্ত ভট্টশালী’গ্যালারিতে বঙ্গমাতা শহীদ শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে স্মরণ করে দেশের ২৫জন বরেণ্য শিল্পী ও ২৫জন তরুণ শিল্পীর আঁকা শিল্পকর্মের প্রর্দশনী হবে। এর ব্যবস্থাপনায় থাকবে আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটি।

৭ আগস্ট রবিবার সকাল ১০টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করবে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ।

৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শহীদ শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিন। এ উপলক্ষে এদিন সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর যৌথ উদ্যোগে শ্রদ্ধার্ঘ্য অপর্ণ, কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। বাদ জোহর আজিমপুর এতিমখানায় এতিমদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

সকাল ১১টায় জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে বঙ্গমাতার জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করবে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি। একই সময়ে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় ‘বাঙালির মহীয়সী নারী শহীদ শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে শস্য বীজ বিতরণ করবে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটি। বিকাল ৪টায় একই স্থানে অসহায় ও দুস্থ নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করবে মহিলা আওয়ামী লীগ।

৯ আগস্ট কোনো কর্মসূচি নেই।

১০ আগস্ট সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা করবে আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপ-কমিটি।

১৩ আগস্ট শনিবার ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে মিলাদ, দোয়া মাহফিল, আলোচনা ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ। বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আলোচনা সভা করবে মহিলা শ্রমিক লীগ।

১৪ আগস্ট শহীদদের স্মরণে মিলাদ, দোয়া মাহফিল, আলোচনা ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ। সকাল ১১টায় জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করবে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি।

১৫ আগস্ট সোমবার পালিত হবে জাতীয় শোক দিবস। এদিন সূর্যোদয়ের ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন ‌ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সংগঠনের সব স্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।

সকাল ৭টায় ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, কবর জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল।

সকাল সাড়ে ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। বাদ জোহর দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং সুবিধামতো সময়ে মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

দুপুরে দেশের বিভিন্ন স্থানে অসচ্ছল, এতিম ও দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হবে। বাদ আসর মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

১৬ আগস্ট আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে শোক দিবসের আলোচনা সভা।

১৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা হবে। ১৮ আগস্ট মৎসজীবী লীগ আয়োজন করবে বোমা হামলা দিবসের আলোচনা সভা। ১৯ আগস্ট বিকেলে যুব মহিলা লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শোক দিবসের আলোচনা। ২০ আগস্ট মহিলা লীগের আয়োজনে আলোচনা সভা হবে।

২১ আগস্ট সকাল ৯টায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ ও আলোচনা করা হবে।

গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে ২২ আগস্ট ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আলোক প্রজ্বালন করবে যুব মহিলা লীগ। সেখানেই আলোচনা সভা করবে ছাত্রলীগ।

২৩ আগস্ট সকাল ১১টায় একই স্থানে আলোচনা সভা করবে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ।

পরদিন ২৪ আগস্ট সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদ নারী নেত্রী আইভী রহমান স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে হবে। আর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা করবে আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটি।

২৫ আগস্ট একই স্থানে আইভী রহমানের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করবে মহিলা আওয়ামী লীগ।

২৭ আগস্ট সকাল সোয়া ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। ২৯ আগস্ট শ্রমিক লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে হবে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা।

৩০ আগস্ট ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা হবে।

শোকের মাসের শেষ দিন ৩১ আগস্ট বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শহীদ শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে আলোচনা সভা করবে ছাত্রলীগ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জাতির পিতার শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতীম ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সংস্থাগুলোর সব স্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।

একইসঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগের জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডসহ সব শাখার নেতাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে দিবসটি স্মরণ ও পালনের জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply