fbpx

রেস্টুরেন্টে ভ্যাট এখন কত?

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

১৫, ১০ নাকি ৫? রেস্টুরেন্টে খাবারের বিলের সাথে কত শতাংশ ভ্যাট দিচ্ছেন? নাকি খেয়ালই করছেন না?

এখন থেকে রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে বিলের সাথে ভ্যাট দিতে হবে ৫ শতাংশ। এসি বা নন-এসি সব ধরণের রেস্তোরাঁয় একই পরিমান ভ্যাট নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটের এই ঘোষণা বাস্তবায়িত হচ্ছে ১ জুলাই থেকে।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী সমিতির প্রধান উপদেষ্টা খন্দকার রুহুল আমীন বিবিএস বাংলাকে বলেন, ‘রেস্তোরাঁ মালিকদের অনেকদিনের দাবি ছিল, খাবারে ভ্যাটের পরিমাণ আরও কমিয়ে দেওয়া। এই বিষয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আমরা রাজস্ব বোর্ডের সাথে আলোচনায়ও বসেছি। যেহেতু করোনা মহামারীর পুরো সময়টা রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় ধ্বস নেমেছিল, আশা করি ভ্যাটের পরিমান কমার কারণে ভোক্তারা আবারও রেস্টুরেন্টমুখী হবেন এবং আমরা আমাদের লস পুষিয়ে নিতে পারবো। আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’

গুলশান, বনানীসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট ঘুরে দেখা যায়, এসি বা নন-এসি প্রায় সব রেস্টুরেন্টেই ৫ শতাংশ ভ্যাট নেওয়া হচ্ছে। সুলতান ডাইন’স, বার্গার কিং, প্রিমিয়াম সুইটস, বাড্ডা এলাকার কামরুল হোটেল সব রেস্টুেরন্টেই মানা হচ্ছে সরকারি নির্দেশনা।

তবে ফাস্টফুড পরিবেশন করে এমন কয়েকটি রেস্টুরেন্ট এখনো ১৫ শতাংশ ভ্যাট নিচ্ছে। এর কারণ জানতে চাইলে ডোমিনিয়াস পিজ্জার ফিন্যান্স বিভাগের ম্যানেজার মোহাম্মদ শুভ বিবিএস বাংলাকে বলেন, ‘আইনে ৫ শতাংশ এবং ১৫ শতাংশ দুইভাবেই ভ্যাট নেওয়ার নিয়ম রাখা আছে। আমরা আইন মেনেই ১৫ শতাংশ ভ্যাট নিচ্ছি। ভোক্তাদের উপকারের কথা চিন্তা করে আমরা খুব শীঘ্রই সর্বনিম্ন ভ্যাট নেওয়ার কথা ভাবছি। সে অনুযায়ী আমাদের সবরকম প্রস্তুতিও চলছে।’

এবিষয়ে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তিন তারকা বা তদূর্ধ্ব মানের হোটেল ও মদের বারে আগের মতোই খাবারের সাথে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বহাল থাকছে। এর বাইরে কোন ফাস্টফুড বা অন্য কোন রিটেইল চেইন শপ ১০ বা ১৫ শতাংশ ভ্যাট নিতে পারবে কিনা, আমার জানা নাই।’

তাদেরকে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির আওতায় এসে সরকার নির্ধারিত ভ্যাট নেওয়ার পরামর্শ প্রধান উপদেষ্টার।

গুলশানের কস্তুরি রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখা যায়, খাবারের বিলের সাথে আলাদা করে ভ্যাটের পরিমাণ উল্লেখ করা নেই। জানতে চাইলে কস্তুরি রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জানালেন, ‘কাস্টমাররা আলাদা করে ভ্যাট দিতে চায় না। ঝামেলা করে। তাই খাবারের দামের সাথেই ভ্যাট যোগ করে আমরা বিল তৈরি করি।’

তবে খাবারের দামের সাথেই যদি ভ্যাট যুক্ত করতে হয়, তাহলে কোন্ খাবারে কত শতাংশ ভ্যাট দিচ্ছে, তা ভোক্তা বা রাজস্ব বোর্ড বুঝবে কি করে? প্রশ্ন রেস্তোরাঁ মলিক সমিতির।

ভ্যাট কমানোয় বেশি খুশি ঢাকায় থাকা ব্যাচেলররা। যাদের বেশিরভাগ সময় রেস্তোরাঁতেই খেতে যেতে হয়। কয়েকজন ভোক্তা জানালেন, ‘চাকরি, কাজে একেক সময় একেক জায়গায় থাকতে হয়, যার কারণে বেশিরভাগ সময় বাইরেই খাবার খেতে হয়। ভ্যাট কমা মানে সবার জন্যেই খুব উপকার। ১০০ টাকার খাবার খেয়ে ৫ টাকা ভ্যাট দিতে গায়ে লাগবে না। কিন্তু এতোদিন ১০০ টাকার খাবার খেয়ে বাড়তি ১৫ টাকা ভ্যাট দিতে খুব গায়ে লাগতো। ৫ শতাংশ ভ্যাট হবার কারণে এখন মানুষ আরও বেশি রেস্টুরেন্টে খেতে যাবে বলে মন্তব্য করেন অনেক ভোক্তাই।

ভ্যাট নির্ধারণের পরও কোন রেস্টুরেন্টের মালিক কারচুপি করলে বা ৫ শতাংশের বেশি ভ্যাট নিলে তার বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর অথবা কর কমিশনে অভিযোগ করা যাবে। ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও বিবিএস বাংলাকে একথা জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মূসক বাস্তবায়ন বিভাগের সদস্য মইনুল খান।

Advertisement
Share.

Leave A Reply