fbpx

আবারও ক্যান্সারকে হারালেন ঐন্দ্রিলা, জয়ী হল ভালবাসা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ওপার বাংলার ছোটপর্দার অভিনেত্রী ঐদ্রিলা শর্মা- যেন লড়াইয়ের আরেক নাম। মারণঘাতী ক্যান্সারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে, দ্বিতীয় বারের মত গাইলেন জীবনের জয়গান।

একের পর এক কেমোথেরাপি, অস্ত্রপচার…. হাসপাতালের বেড যেন হয়ে উঠেছিল নিজের বাড়ি। তবু দমে জাননি ঐদ্রিলা। বেঁচে থাকার লড়াই ছাপিয়ে যে গল্প লাখো মানুষের হৃদয় কড়েছে সে এক ‘অসম্ভব ভালবাসা’। ঐদ্রিলার জীবন যুদ্ধের ;জিয়নকাঠি’ হয়ে উঠেছেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী।

আবারও ক্যান্সারকে হারালেন ঐন্দ্রিলা, জয়ী হল ভালবাসা

এ বছর শুরুর দিকেই দ্বিতীয় বারের মত ক্যান্সার আক্রান্ত হন তিনি। ছবি: সংগৃহীত

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে যখন ঐদ্রিলা যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন, তখন মাথার ওপর যেই হাত সাহস যুগিয়েছে, সেই হাত প্রিয়তমর। সিমাহীন কষ্টে অন্দ্রিলা যখন হাল ছেড়ে দিয়েছেন, তাখন দাঁতে দাঁত চেপে ‘ ফাইট ঐন্দ্রিলা ফাইট’ বলে সাহস যুগিয়েছেন যিনি, এই জয় তো তারও।

অন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন লাখো ভক্ত। আর নিয়মিত সেই আপডেট দিয়ে আসছিলেন সব্যসাচী। বুধবার শেষ বারের মতো ঐন্দ্রিলা শর্মাকে নিয়ে লেখেন ছোট পর্দার ‘বামদেব’। জানিয়েছেন চলতি মাসেই শেষ হচ্ছে অভিনেত্রীর চিকিৎসা। আর এ খবরে খুশির বান বয়ে যায় সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেই সাথে দাগ কেটে যায় অসংখ্য প্রেমিক-প্রেমিকার হৃদয়ে। অনেকেই বলছেন এই জয় ভালবাসার।

আবারও ক্যান্সারকে হারালেন ঐন্দ্রিলা, জয়ী হল ভালবাসা

ঐন্দ্রিল শর্মা ও সব্যসাচী। ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ঐন্দ্রিলা এখন সুস্থ এবং বিপদমুক্ত। তবে ডিসেম্বরের শেষ দিন পর্যন্ত কেমোথেরাপি চলবে। শারীরিক অবস্থা জানতে প্রতি তিন মাস অন্তর স্ক্যান করা হবে।

রোগমুক্ত হতে কতটা ধকল পোহাতে হয়েছে ‘জিয়নকাঠি’র নায়িকাকে? সব্যসাচী জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারে শরীর থেকে বাদ গিয়েছে অর্ধেক ফুসফুস, হৃদপিণ্ডের ছাল বা পেরিকার্ডিয়াম এবং ডায়াফ্রামের একাংশ। অতিরিক্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার ও ওষুধের প্রভাবে অভিনেত্রীর ওজন বেড়ে গেছে। তবে ছিপছিপে শরীর হারিয়ে মোটেই ভেঙে পড়েননি ঐন্দ্রিলা। জানিয়েছেন, পুরোপুরি সুস্থ হয়ে আবারও দাঁড়াবেন ক্যামেরার সামনে।

২০০৭ সালে, উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময় ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হন ঐদ্রিলা। দেশে বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। তবে চলতি বছর শুরুর দিকে আবারও ওই রোগে গ্রাস করে তাকে। তখন থেকেই সব সময় প্রেয়সীর পাশে ছিলেন সব্যসাচী। হাতে হাত রেখে জানিয়েছেন এ হাত ছেড়ে দেয়ার নয়।

https://www.facebook.com/eveningshow.bbs

Advertisement
Share.

Leave A Reply