fbpx

আম্মু আব্বুর উপর রাগ করে এসব কথা বলেছেন: ফারদিন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ওমর সানী-মৌসুমী-জায়েদ খান ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন তারকা দম্পতির সন্তান ফারদিন এহসান স্বাধীন।

ফারদিন বলেন, ‘যাকে(জায়েদ খান) নিয়ে অভিযোগ এসেছে, যা বলা হচ্ছে এগুলো সম্ভব। এর চেয়েও বেশি নোংরা কিছু করা সম্ভব। এমনকি সবকিছুই সম্ভব। তাকে আমার ফ্যামিলির জন্য কোনো একটা ইস্যু বা টিস্যু, কোনো কিছুই মনে করি না। আর আমার আব্বু এত বছর ধরে চ্চলচ্চিত্রে আছেন, তিনি তো না বুঝে কথা বলবেন না।‘

ফারদিন আরও বলেন, ‘আমার বাবা সিনিয়র। তিনি(জায়েদ খান) বেয়াদবি করেছেন। এ কারণে আমার আব্বু একটা থাপ্পর দিয়েছেন। কিন্তু তাই বলে তিনি পিস্তল বের করে হুমকি দেবেন এটা দুঃখজনক। আর আমাদের ফ্যামিলিতে জায়েদ খান কীভাবে ক্ষতি করতে চাচ্ছেন, এটা বলতে গেলে লম্বা ঘটনা।’

জায়েদ খানকে দোষারোপ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যখন দুজন টপ সেলিব্রেটির ফ্যামিলি সুখে থাকেন, স্ত্রী সন্তানদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক, তখন এ রকম একটি পরিবারে কিছু নেকড়ে প্রকৃতির মানুষ নানাভাবে ইস্যু তৈরি করেন। ব্যবসা দিয়ে চেষ্টা করেছেন, হয়তো পারেননি। এখন ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করছেন, সেটাও তো পারবেন না। তিনি (জায়েদ খান) আমার আব্বার সঙ্গে অবশ্যই বেয়াদবি করেছেন, কী বেয়াদবি করেছেন সেটা তো নিশ্চয়ই গিয়ে জিজ্ঞেস করব না। আমার আম্মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। বলেছিলাম মা, তুমি যে অডিও বাইটের প্রথমে বা লাস্টে যা বললে, কী বললে? জানাতে চেয়েছিলাম, বিশ্রী একটা পরিবেশ সৃষ্টি  হয়েছে। এটা সমাধান করতে হবে ঘরোয়াভাবে। এটা গণমাধ্যম পর্যন্ত যাওয়া লাগবে না বা চলচ্চিত্রে সিনিয়রেরা আছেন তারাই বিষয়টি সমাধান করতে পারেন।

ফারদিন ব্যবসা করেন। সেখানেও ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন জায়েদ খান এমনটা উল্লেখ করে এই তারকা সন্তান বলেন, ‘তার তো কোনো সিনেমা নেই, কোনো কাজ নেই। কাজ না থাকলে যা হয়। আমরা সবাই ব্যস্ত থাকি। তার না আছে ক্যামেরার জীবন, না আছে অন্য জীবন। যার কিছুই থাকে না, তার টার্গেট থাকে যার কিছু থাকে তারটা নিয়ে সে নষ্ট হবে বা তারটা নিয়ে সে ভালো হবে। এটা ইন্ডাস্ট্রির সবাই জানে। এফডিসির সবাই আমার পরিচিত। আঙ্কেল খালা মামা। আমি ইন্ডাস্ট্রির ভাগনে, ভাতিজা, ছেলে। তাদের কে বলতে হয় জায়েদ খান নিম্ন মানের মানুষ।’

তার বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মায়ের অডিও বার্তা প্রসঙ্গে মায়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। তখন আপনার মা মৌসুমি কী বলেছিলেন, জানতে চাইলে ফারদিন বলেন, ‘তখন মা বলেন, দেখ বাবা আমি তো তখন রাগের মাথায় বলেছি। তোমার বাবার সঙ্গে একটু রাগারাগি হয়েছে। সেভাবেই বলেছি। আমি কিন্তু মিথ্যাচার করছে সানী এটা ডিরেক্ট বলি নাই। যতটুকু বলেছি, আমি রাগের মাথায় বলেছি।

আর আমি গত তিন চার মাস ধরেই বুঝে আসছি জায়েদ ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন। ঘটনার দিন রাতে তিনি আমাকে পুলিশকে দিয়ে ফোনও দিয়েছে। তাকে ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই পছন্দ করেন না।’
আমি এ বিষয়ে আম্মুকে বলেছিলাম। তিনি বলেন, ‘তুমি যা বলেছ, আমি এগুলো নিয়ে ওরিড না। এদেরকে গোনায়ও ধরি না।’
ফারদিন বলেন, ‘তিনি থাপ্পড় খাওয়ার যোগ্য দেখেই থাপ্পড় খেয়েছেন। আর আমার বাবা পাগল না। বুঝেই সেসব করেছেন। মায়ের দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছেন তিনি। তাকে প্রপারলি শাস্তি দিয়েছেন আব্বা।’

মায়ের সঙ্গে সর্বশেষ কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে ফারদিন বলেন, ‘মা বলেছেন বাবার সঙ্গে কিছুটা রাগারাগি হয়েছে। আমার দর্শক ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী যারা একটু কষ্ট পাচ্ছেন, আমি একটু সুস্থ হলেই আবার অডিও বার্তা হোক, ভিডিও বার্তা হোক, যেভাবেই হোক আমি মনের কথা জানাব। আর বাবা–মায়ের মধ্য কিছুটা মনোমালিন্য হয়েছে বলেই এমনটা নয় যে সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ওমর সানী-মৌসুমী দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে। দীর্ঘ সাতাশ বছর তারা সংসার করছেন। শোবিজ অঙ্গনে এই তারকা দম্পতি সবার আইডল।

Advertisement
Share.

Leave A Reply