আজ সোমবার থেকে সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা হ্রাসের এ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমনটিই বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বায়ুর চাপ বেশি হলে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে শীতল বাতাস দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং তাপমাত্রা কমে যায়। এ ছাড়া আরও কয়েকটি কারণে আজ থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে। মাঝেমধ্যে ঊর্ধ্বাকাশের ঠান্ডা বাতাস নিচের দিকে নেমে আসে। তখন তাপমাত্রা কমে যায়।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ থেকে কুয়াশার দাপটও একটু বেড়ে যেতে পারে। কুয়াশা বেশি থাকলে তা ভেদ করে সূর্যের আলো পৃথিবীকে উত্তপ্ত করতে পারে না। এতে তাপমাত্রা কমে যায় এবং শীতের অনুভূতি বাড়তে থাকে।
গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১১ ডিগ্রির আশপাশে তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে, ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি, নীলফামারীর ডিমলায় ১১ ডিগ্রি ও সৈয়দপুরে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে গতকাল। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির আশপাশে ছিল গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, পাবনা, নওগাঁ, রংপুর, দিনাজপুর, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়।
দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার ওপরে ছিল। এর মধ্যে ঢাকায় গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশে জানুয়ারি মাসের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এবার তাপমাত্রাও একটু বেশি বলে জানান আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক। তিনি বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সঙ্গে বাংলাদেশের তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতি আছে কি না, সেটি পর্যবেক্ষণে রাখছে আবহাওয়ার গতি–প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। বাংলাদেশেও বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন আবহাওয়াবিদেরা।