fbpx

আরো কম দামে রাশিয়ার তেল কিনছে ভারত

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলো নানাভাবে রাশিয়ার তেল ব্যবসা বন্ধ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রতিবারই রাশিয়া নানা কৌশলে তা থেকে বেরিয়ে আসছে। আবার রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীলতাও কাটাতে পারছে না ইউরোপ। ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপর রাশিয়া বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে ভারত ও চীনের কাছে তেল বিক্রি করেছে। সেই ব্যবসার লাগাম টানতে চলতি মাসের শুরুতে সমুদ্রপথে রাশিয়ার তেল সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। একইসঙ্গে তারা এবং জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো (কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, ব্রিটেন, আমেরিকা) রুশ তেল কেনার দর ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলার নির্ধারণ করে দেয়।

তবে এমন পদক্ষেপেও রাশিয়াকে আটকানো যাচ্ছে না। এখন তারা সেই দরের চেয়েও কম দরে ভারতের কাছে ওরাল ক্রুড তেল বিক্রি করছে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে তারা উৎপাদন খরচের থেকে ১২-১৫ ডলার কমে ভারতের কাছে তেল বিক্রি করছে। পশ্চিমা দেশগুলোর বাজার বন্ধ হওয়ায় রাশিয়া স্বাভাবিকভাবেই তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে। অর্থনীতিকে সচল রাখতে তেল বিক্রির বিকল্প নেই তাদের। তাই এশিয়ার মতো বিকল্প বাজারে অবস্থান ধরে রাখতে অন্যান্য সরবরাহকারীর চেয়ে বেশি ছাড় দিয়ে ক্রেতা আকর্ষণের বিকল্প নেই তাদের; যার সুবিধা পাচ্ছে ভারতের মতো বৃহৎ তেল আমদানিকারক দেশ।

গত মাসে ভারত সবচেয়ে বেশি অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে রাশিয়া থেকে। কিনেছে ৩৭ লাখ টন ওরাল ক্রুড। নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, দেশের স্বার্থে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকেই জ্বালানি তেল কেনা হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, পশ্চিমা শক্তিকে এড়িয়ে পরিস্থিতির সুবিধা নিচ্ছে উভয় দেশই।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ জানে, এ দাম নির্ধারণ করে দেওয়া ও নিষেধাজ্ঞা বাজারে রাশিয়ার তেল সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না। তবে এ নিষেধাজ্ঞার কারণে দাম বাড়বে না এবং রাশিয়া অতিরিক্ত মুনাফা করতে পারবে না। ফলে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর সক্ষমতা কমবে মস্কোর।

Advertisement
Share.

Leave A Reply