ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে জোয়ারের পানিতে বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী সুন্দরবনের বেশ কিছু এলাকার বনভূমি প্লাবিত হয়েছে। এ সময় ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতায় পানির ঢেউ বনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে, মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সুন্দরবনের বন্য অসংখ্য প্রাণীর। এরমধ্যে বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত দু’টি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের একটির পেটে বাচ্চাও ছিল।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, গতকাল বুধবার (২৬ মে) বিকেলে একটি মৃত হরিণ সুন্দরবনসংলগ্ন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসে। তার আগে, আরও একটি মৃত হরিণ বঙ্গোপসাগরসংলগ্ন সুন্দরবনের দুবলার চরের আলোরকোলে কোস্টগার্ড অফিসের সামনে ভেসে আসে। স্থানীয়রা মৃত হরিণ ভেসে আসতে দেখে বন বিভাগকে খবর দেয়।
বন বিভাগ ধারণা করছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে হরিণগুলোর জোয়ারের পানিতে ডুবেই মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর জোয়ারের পানিতে এগুলো ভেসে আসে।
স্থানীয়রাও একই ধারণা করে বলেছে, হরিণগুলোর মৃত্যু জোয়ারের পানিতে ডুবেই হয়েছে।
এ বিষয়ে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, হরিণের মরদেহ উদ্ধার করার জন্য লোক পাঠানো হয়েছে। তবে, হরিণগুলোর মৃত্যুর কারণ এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে মৃতদেহগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন এসিএফ জয়নাল আবেদিন।
এসিএফ আরও জানান, বঙ্গোপসাগর ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সুন্দরবনের অনেক জায়গা প্লাবিত হয়েছে। তবে এর কারণে কোনও প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে কিনা বা কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই জানা যাবে।