রাজধানীজুড়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী চক্র। আর আসছে ঈদকে কেন্দ্র করে আরও সক্রিও হয়ে উঠেছে তারা। প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এদের খপ্পরে পড়ে লোকজন টাকা-মোবাইল ফোন ও অন্যান্য দামী জিনিস হারাচ্ছেন।
এ অবস্থায় গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ঢাকার হাজারীবাগ, চকবাজার, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর ও শাহবাগ এলাকায় ধারাবাহিকভাবে এ অভিযান চালায় ডিবির রমনা ও লালবাগ বিভাগ। আজ (৯ এপ্রিল) মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির যুগ্ম-কমিশনার মাহবুব আলম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতরের নিরাপত্তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি ও অজ্ঞান-মলম পার্টির দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ছিনতাই, ডাকাতি ও দস্যুতার প্রস্তুতিকালে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবারের অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আব্দুর রহমান শুভ, ইয়াছিন আরাফাত জয়, বাবু মিয়া, মো. ফরহাদ, হৃদয় সরকার, আকাশ, জনি খাঁন, মো. রোকন, মেহেদী হাসান ওরফে ইমরান, মনির হোসেন, মো. জুয়েল, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে মাইকেল, মো.আজিম ওরফে গালকাটা আজিম, মো. শাকিল ওরফে লাদেন, ইমন, মো. রাজিব, রাসেল, মিন্টু মিয়া ওরফে বিদ্যুৎ, মো. মাসুদ, তাজুল ইসলাম মামুন, মো. সবুজ, মো. জীবন, রিয়াজুল ইসলাম, মুন্না হাওলাদার, শাকিল হাওলাদার, মো. ফেরদৌস ও আবুল কালাম আজাদ।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে লোহার রড, দা, ছোরা, চাকু, চেতনানাশক ট্যাবলেট ও মলম জব্দ করা হয়
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবির যুগ্ম-কমিশনার জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা দলবদ্ধভাবে ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বাস স্টপেজে অবস্থান করে কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে। পরে যাত্রীবেশে বাসে উঠে সুযোগ বুঝে টার্গেট ব্যক্তিকে সুকৌশলে চেতনানাশক উপাদান প্রয়োগে অচেতন করে টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালিয়ে যায়। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও রেকর্ড অনুসন্ধান করে ২০ জনের বিরুদ্ধে চুরি, দস্যুতা, ডাকাতির প্রস্তুতি ও মাদকসহ একাধিক মামলা পাওয়া গেছে।