fbpx

উসকানিমূলক বক্তব্য দিলে ছাড় পাবেনা কেউ : পুলিশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

উসকানিমূলক বক্তব্যের সাথে জড়িত উগ্রবাদী বক্তাদের তালিকা তৈরি করছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। অনলাইনে অথবা জনসভায় এ ধরনের বক্তব্য দিলে বক্তারা সন্ত্রাস-বিরোধী আইনে ‘উসকানিদাতা’ হিসেবে অভিযুক্ত হবেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

এরইমধ্যে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ায় সাত জনকে শনাক্ত করে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

বর্তমানে হেফাজতের নেতাদের ধরপাকড়ের কারণে দেশে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম কমে গেলেও উগ্রবাদের শঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে বলে জানান, সিটিটিসির উপ-কমিশনার সাইফুল ইসলাম।

সাইফুল ইসলাম জানান, তাদের তৈরিকৃত তালিকায় হেফাজতে ইসলামের নামও আছে। এছাড়া জঙ্গিদের কাছে জনপ্রিয় উগ্রবাদী বক্তাদের শাস্তির আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। শুধুমাত্র নজরদারি দিয়ে উগ্রবাদ থামানো সম্ভব না। তাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

এর আগে গত বুধবার ২০ বছর বয়সী এক তরুণকে গ্রেপ্তারের পর থেকে এসব উদ্যোগ নেওয়ার শুরু করে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া আল সাকিব নামের ওই তরুণ অনলাইনে ভিডিও দেখে জঙ্গিবাদে যুক্ত হন, জাতীয় সংসদে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল বলেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায় সাকিব।

তবে পুলিশে সন্দেহ করছে, তিনি আল-কায়েদার অনুসারী জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য। তার কাছ থেকে একটি কালো পতাকা, কালো রুমাল, বড় একটি ছুরি ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

সাকিব নামের ওই তরুন পুলিশকে জানান, তিনি উগ্রবাদী বক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর তারা তাকে সমমনা অন্যদের নিয়ে একটি দল গঠন করতে এবং সন্ত্রাসী হামলা চালাতে উৎসাহ দেন। এরপর তিনি ম্যাসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে মানুষকে আমন্ত্রণ জানাতে শুরু করেন এবং স্থানীয় কামারের বানানো বড় ছুরিটি সংগ্রহ করেন।

এ বিষয়ে সিটিটিসির উপ-কমিশনার বলেন, বুধবার আমন্ত্রণ জানানো ৩১৩ জনকে নিয়ে জাতীয় সংসদে হামলা চালানোর পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকায় যান সাকিব। কিন্তু সৌভাগ্যবশত কেউ তার আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি।

সাকিবকে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেওয়ার অভিযোগে গতকাল ৬ মে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজবাড়ী থেকে আলি হাসান ওসামা নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Advertisement
Share.

Leave A Reply