স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রবিবার ৩ জানুয়ারি একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, করোনা ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজ টিকার দাম ৪ ডলার। সব খরচ মিলিয়ে দাম হতে পারে ৫ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় হিসাব করলে এটি দাড়াবে ৪২৫ টাকার মতো।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের এই টিকা সরকার কিনে তা বিনামূল্যে বিতরণ করবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে তারা টাকা পেয়েছেন। রবিবারই তা ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশের জনতা এবং স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ওই টাকা অগ্রিম হিসেবে গচ্ছিত রাখা হবে। বিনিময়ে সেরাম ইনস্টিটিউট ব্যাংক গ্যারান্টি দেবে। প্রথম চালানের টিকা বাংলাদেশে আসার পর সেরাম ইনস্টিটিউট ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিতে পারবে। টিকা সরবরাহ শুরু হলে বাকি টাকা দেওয়া হবে।
খুরশীদ আলম বলেন, ‘শতভাগ গ্যারান্টি থাকবে, যদি কোনো কারণে তারা (সেরাম ইনস্টিটিউট) টিকা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে পুরো টাকাই সরকার ফেরত নিয়ে আসতে পারবে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে টিকার ৫০ লাখ ডোজ পাঠাবে সেরাম ইনস্টিটিউট।
ভারতকে অগ্রিম হিসেবে ৬০০ কোটি টাকার বেশি দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে খুরশীদ আলম বলেন, ‘টিকার দামের সঙ্গে ভ্যাট, ট্যাক্সসহ এই পরিমাণ অর্থ দেওয়া হচ্ছে। আমরা টাকাটা টিটির (টেলিফোনিক ট্রান্সফার) মাধ্যমে ব্যাংকে পাঠিয়ে দেব।’