ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ ৭টি ওয়ার্ডে ‘বিশেষ চিরুনি অভিযান’ পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
রবিবার (৮ মে) বিকালে নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে নিয়মিত পাক্ষিক পর্যালোচনা সভায় ঢাদসিক মেয়র করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এই নির্দেশনা দেন।
তাপস বলেন, ‘বর্ষাকালে এডিস মশার বংশবৃদ্ধির সাথে সাথেই ডেঙ্গু সংক্রমণও বৃদ্ধি পায়। সেজন্য বর্ষা মৌসুম পুরোপুরি শুরু হওয়ার আগেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে আমাদের যে ৭টি ওয়ার্ডকে উচ্চ ও মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে , সে সকল ওয়ার্ডে মশক নিয়ন্ত্রণ ও নিধন কার্যক্রমে আরও বেশি জোর দিতে হবে। তদারকি বাড়াতে হবে। জোরালো কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সেসব ওয়ার্ডে আগামী ১০-১২ মে পর্যন্ত বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করুন।’
জনসচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত দুরূহ উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। তাছাড়া এডিস মশার প্রজননস্থল শুধু বাড়ির চারপাশ ও আঙ্গিনায় নয়, বাড়ির অভ্যন্তরেও সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য জনসচেতনতার বিকল্প নেই। তাই, এডিস মশার সংক্রমণ রোধ করতে হলে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে, তাদেরকে সচেতন করতে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বর্ষাপূর্ব জরিপ (প্রি-মনসুন সার্ভে) অনুযায়ী দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৮, ৪০ ও ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড উচ্চ এবং ১৩, ১৫, ২১ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডকে মধ্যম মাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেসব ওয়ার্ডে এই বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে।
অন্যান্য সময়ে নিয়মিতভাবে ৭ জন মশক কর্মী লার্ভিসাইডিং এবং ৬ জন মশক কর্মী এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। কিন্তু এই বিশেষ চিরুনি অভিযানে সকালে ১৩ জন মশক কর্মী লার্ভিসাইডিং এবং বিকেলে ১৩ জন মশক কর্মী অ্যাডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এসময় করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এই বিশেষ চিরুনি অভিযান কার্যক্রম তদারকি করবেন।