করোনার প্রকোপ কমাতে এবার শিক্ষার্থীদের কাছে ভিন্ন উপায়ে পাঠ্য পুস্তক তুলে দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই স্কুল থেকে নিতে হবে এই বই। তবে সে বই হাতে হাতে দেওয়া হবে না। প্যাকেটে মোড়ানো থাকবে শিক্ষার্থীদের এ সকল বই। আর একদিনে সব শ্রেণীর নয় বরং একেক দিন একেক শ্রেণীর বই বিতরণ করা হবে। মাঠ কর্মকর্তাদের কাছে ইতোমধ্যেই এই নির্দেশনা পোঁছে গেছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবার ক্লাস ও রোল অনুযায়ী নতুন বই প্যাকেটজাত করে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে ক্লাস ও রোল অনুযায়ী শিডিউল দেওয়া থাকবে। নির্ধারিত দিনে শিডিউলভুক্ত ক্লাসের শিক্ষার্থীরা বই সংগ্রহ করতে পারবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার স্কুল থেকেই নতুন বই বিতরণ করা হবে। ইতোমধ্যেই মাঠপর্যায়ে জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে এ নির্দেশনা পৌঁছানোর দায়িত্ব তাদের। স্কুলে একেক ক্লাসের বই একেক দিন বিতরণ করা হবে। আগে থেকেই স্কুলে বই প্যাকেট করা থাকবে। সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের এই বই সংগ্রহ করতে হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘কোন দিন কোন ক্লাসের বই বিতরণ করা হবে তা আগে থেকেই স্কুলের নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেয়া হবে। তবে আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকায় এ বই বিতরণ কবে থেকে শুরু হবে তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। তবে যেসব স্কুলে এক শ্রেণিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি সেসব ক্ষেত্রে সকাল ও বিকাল আলাদা করে অভিভাবকদের বই নিয়ে যেতে বলা হবে’।
অন্যদিকে স্কুল থেকেই নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যবইও বিতরণ করা হবে বলে জানা গেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, শিডিউল মোতাবেক শিক্ষার্থীরা স্কুলে গিয়ে বই সংগ্রহ করবে।
এ পর্যন্ত বিতরণের জন্য প্রায় ৩৫ কোটি বই মুদ্রণ করছে সরকার। এর মধ্যে মাধ্যমিকের বই প্রায় ২৪ কোটি ৩৪ লাখ এবং বাকিটা প্রাথমিক স্তরের বই প্রায় ১০ কোটি। এর মধ্যে ১ জানুয়ারির আগে প্রাথমিক স্তরের সব বই স্কুলে স্কুলে পৌঁছে যাবে। আর মাধ্যমিক স্তরের সব বই পৌঁছাতে একটু দেরি হতে পারে বলে জানা গেছে।
এবারের বই উৎসবও হবে ভার্চুয়ালি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৩১ ডিসেম্বর ভার্চুয়ালি এই বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন। আর নতুন বছরের প্রথম দিন স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।
