fbpx

এলআরবি আরবান ড্রয়িংরুম থেকে গানকে হাটে মাঠে ঘাটে গঞ্জে পৌঁছে দিয়েছে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশের প্রয়াত ব্যান্ড নক্ষত্র আইয়ুব বাচ্চুর হাতে গড়া সংগীত দল এল আর বি’র আজ জন্মদিন। ১৯৯১ সালের ৫ এপ্রিল এই কিংবদন্তি ব্যান্ডটির পথচলা শুরু। এলআরবি’র পুরো নাম ‘লাভ রান্স ব্লাইন্ড’। শুরুতে এর নাম ছিল ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’। এই নামে অন্য একটি ব্যান্ড থাকায় পরে নাম পরিবর্তন। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর অনন্তলোকে পাড়ি জমান মায়েস্ত্রো আইয়ুব বাচ্চু।

ব্যান্ডটির জন্মদিনে বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতে একক আইয়ুব বাচ্চু ও এলআরবি’র প্রভাব নিয়ে বিবিএস বাংলা’য় সংক্ষেপে লিখেছেন উপন্যাসিক, গীতিকবি ও আইয়ুব বাচ্চুর সহযোদ্ধা লতিফুল ইসলাম শিবলী।

প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই ব্যান্ড দলের গান মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। এটি যেকোনো সংগীত স্রষ্টার জন্যই গ্রেট অ্যাচিভমেন্ট। আমি বলতে চাই, বাংলাদেশের সংগীত জগতে ব্যান্ড এলআরবি’র প্রভাব সম্পর্কে। যে সংগীতে মিলে মিশে আছেন আইয়ুব বাচ্চু ও এলআরবি।

স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশের সংগীতে ব্যান্ড সংগীত ছিল আউটসাইডার। শুরুতে এটিকে ‘অপসংস্কৃতি’ বলা হতো। লক্ষ্য করে দেখার বিষয় ব্যান্ড সংগীতকে ‘বিদেশি সংস্কৃতি’ বলা হতো না। তাহলেও একটু সম্মান করা হতো। সরাসরি এই নতুন ধারার ব্যান্ড মিউজিক আখ্যায়িত হয় ‘অপসংস্কৃতি বা বখাটেদের সংগীত’ হিসেবে। বাংলাদেশে প্রচলিত গান বলতে তখন ছিল, দেশাত্মবোধক গান ও প্রেমের গান। যে গান ছিল বাস্তবতা বিবর্জিত। নিজের গানের কথায় উদাহরণ দিচ্ছি। বলতে পারি, ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’ গানটির কথা। এখানে প্রচলিত অর্থে কোনও নারীর সৌন্দর্য্য বর্ণনা করা হয়নি। সহজ ভাষায় প্রকাশ পেয়েছে তারুণ্যের দ্রোহপূর্ণ এক নতুন আকুতি। যে দ্রোহ গীতিকবিতায় ভর করে অনবদ্য ডিসটরটেড গিটারসহ অন্য বাদনের সমাহারে ব্যান্ড সংগীত তরুণদের গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। আর তা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে প্রবীণ ও ‘বুদ্ধিজীবীর দল’। আরও বলতে পারি ‘হাসতে দেখ গাইতে দেখ’ গানটির কথা। যার সহজ কথা আর বাচ্চু ভাইয়ের কম্পোজিশনে অন্য মাত্রা পেয়ে গানটি কালজয়ী হয়ে পৌঁছে গেছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সীমানার বাইরে। তারুণ্যের দ্রোহ ও প্রেমের ভাষার এ প্রকাশ ছিল বাংলা সংগীতে ১৮০ ডিগ্রি উল্টো এক ঘটনা। তাকে আটকানো সাধ্য কারও ছিল না। এভাবেই এলআরবি আরবান ড্রয়িংরুম থেকে গানকে পৌঁছে দিয়েছে হাটে মাঠে ঘাটে গঞ্জে। এককভাবে আইয়ুব বাচ্চু ও তার এলআরবি এই দুঃসাহসিক ব্যান্ডযাত্রায় অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।

এলআরবি আরবান ড্রয়িংরুম থেকে গানকে হাটে মাঠে ঘাটে গঞ্জে পৌঁছে দিয়েছে

এভাবেই এলআরবি আরবান ড্রয়িংরুম থেকে গানকে পৌঁছে দিয়েছে হাটে মাঠে ঘাটে গঞ্জে। ছবি: ফেসবুক

Advertisement
Share.

Leave A Reply