ভারত থেকে সোমবার বাংলাদেশে আসা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৫০ লাখ টিকা পরীক্ষা শেষে মানবদেহে প্রয়োগ করার অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) মহাখালীতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
মাহবুবুর রহমান এ সময় বলেন, প্রথম ধাপে আসা টিকাগুলোর প্রতিটি লটের নিখুঁতভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। আগামীকাল ২৭ জানুয়ারি থেকেই টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরো জানান, যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে তাদের দেশে এরইমধ্যে তা প্রয়োগ করাও শুরু করেছে। পাশাপাশি, ভারতও ১৬ জানুয়ারি থেকে তাদের দেশে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করছে। ভারতের সব ধরনের কাগজ-পত্র পরীক্ষা করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী বিশ্বমানের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত।
এদিকে, সোমবার এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকার প্রথম চালান ঢাকায় আসার পর তা টঙ্গীতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ওয়্যারহাউজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই টিকার নমুনা পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ হিসেবে সরকারকে করোনা টিকা সরবরাহ করছে। প্রতিষ্ঠানটি এখন টিকা প্রয়োগে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমতি পাওয়ার ফলে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব জেলায় টিকা পৌঁছে দেবে।