যাদের মেধা আছে, সেই মেধাকে কাজে লাগিয়ে পরিশ্রম করে পরীক্ষায় ভালো ফল করেছেন, এমন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার গতি আরও এগিয়ে দিতে প্রতিবছরের মতো এবারও পাশে দাঁড়িয়েছে ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার ফাউন্ডেশন। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভোলা জেলায় ভালো ফলপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে আলহাজ্ব আব্দুল হান্নান হাওলাদার শিক্ষাবৃত্তি তুলে দিয়েছেন ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকেরা।
১০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) রাজধানীর গলফ ক্লাবে ভোলা সমিতি ঢাকার আয়োজনে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ দেড়শো শিক্ষার্থীর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট এবং নগদ অর্থ তুলে দেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ। সশরীরে উপস্থিত হতে পারেননি বলে দু:খ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এটি একটি বড় উদ্যোগ, উপস্থিত হতে পারলে ভালো লাগতো। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য আমার দোয়া ও শুভকামনা থাকলো। ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার বড় মনের সৎ মানুষ। ভালো ব্যাবসায়ীও। আমি আশা করবো ভবিষ্যতেও শিক্ষা বৃত্তির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।’
মেধার পাশাপাশি কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে জানিয়ে ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার বলেন, ‘শুধু মেধা হলেই হবে না। সাথে পরিশ্রমীও হতে হবে। আমি এমনও দেখেছি মেধা কম কিন্তু পরিশ্রমের কারণে উপরে উঠে গেছে। তাই হতাশ হওয়া যাবে না। পরিশ্রম করে যেতে হবে। একইসঙ্গে স্ট্রাগল করার শক্তি থাকতে হবে। যত কঠিন পরিস্থিতিই আসুক, তা মোকাবেলা করার মতো শক্তি যার যত বেশি, তার জীবনে সফলতার পরিমাণও তত বেশি। নিজেকে যোগ্য সুনাগরিক করে গড়ে তুলতে হবে এবং দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে খুব খুশি শিক্ষার্থীরা। ভালো ফলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সারাবছর ধরে পড়া, নিয়মানুবর্তিতা, শিক্ষক ও অভিভাবকদের নির্দেশ মেনে চলার উপর জোর দিয়েছেন তারা। ভবিষ্যতেও এ ধরণের বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভালো ফল করা শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য আলী আজম মুকুল, যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিনসহ আরও অনেকে।
এই শিক্ষা বৃত্তিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা। এই ধরণের উদ্যোগ ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা যোগাবে, এবং অর্থকষ্টে থাকা শিক্ষার্থীদের সামনে এগিয়ে যেতে সাহস যোগাবে, মত তাদের।