fbpx

কৃষিপণ্য বাণিজ্য সম্প্রসারণে সমঝোতা স্মারক সই

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কৃষিপণ্যের বাণিজ্য সম্প্রসারণে কারিগরি সহযোগিতা প্রদান বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এর অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন (বিটিএফ) প্রজেক্টের মধ্যে এক চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এমওইউ সই হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মোঃ হাফিজুর রহমান এবং বিটিএফ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মাইকের জে পার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এমওইউ-তে স্বাক্ষর করেন।

প্রকল্পটি বাংলাদেশি বন্দরগুলোতে কৃষি বাণিজ্যের পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতা মোকাবিলা; রপ্তানি ও আমদানি প্রক্রিয়া সহজতর এবং স্বয়ংক্রিয় করা; সরকারি সংস্থার দক্ষতা বৃদ্ধি; পণ্যের গুণ-মান পরীক্ষাগার এবং পণ্য সংরক্ষণাগারের সক্ষমতা বৃদ্ধি; এবং কৃষিপণ্য সংরক্ষণ অবকাঠামো খাতে, বিশেষভাবে হিমাগার উন্নয়নে সরকারি-বেমরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করে কৃষিপণ্যের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিস্তৃতিকরণে সহায়তা করবে। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে অক্টোবর ২০২০ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে প্রায় ২৭.৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্য সচিব কৃষিপণ্যের বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিদ্যামান বাধা দূরীকরণে সরকারি সংস্থা ও বেসরকারি খাতকে সহযোগিতা প্রদানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে সাড়া প্রদান করায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পরিচালনাগত বাধা অতিক্রমের ক্ষেত্রে সমন্বিত কারিগরি সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তিনি আশা করেন যে, বাণিজ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর আইনি কাঠামোর সংস্কার, পণ্য পরীক্ষাগারগুলোর ভৌত কাঠামোর উন্নয়ন, সেবা স্বয়ংক্রিয়করণ ও মান উন্নয়ন, বাণিজ্য তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধিকরণ এবং পচনশীল খাদ্য ও কৃষিপণ্যের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা দেশে সুবিধাজনক বাণিজ্য পরিবেশ তৈরি করবে। তিনি সংশ্লিষ্ট সহযোগী সংস্থাসমূহের মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রম সুসমন্বিত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।

তিনি আরও আশা করেন যে, এ প্রকল্প ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবার পর বাংলাদেশকে বাণিজ্য সহজীকরণের ক্ষেত্রে বাধা মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জনে সাহায্য করবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply