সুদীর্ঘ ৮০ বছরের পথচলার ইতি টানছে কোটি বাঙালির আস্থার জায়গা বিবিসি বাংলা’র রেডিও সম্প্রচার। কিন্তু কেন এরকম কঠিন সিদ্ধান্ত নিলো লন্ডনের প্রভাবশালী এই গণমাধ্যমটি?
ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্ত হবার আগেই ১৯৪১ সালে লন্ডনে জন্ম হয় বিবিসি বাংলা’র। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনগুলিতে বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ প্রচারের জন্য বিবিসি বাংলা অর্জন করেছিল বিপুল জনপ্রিয়তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা। যা আজো কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে কোটি বাঙালি।
বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় দেড় কোটি বাংলাভাষী শ্রোতা নিয়মিত কান পাততেন বিবিসি বাংলায়। কিন্তু অনেকটা আকস্মিকভাবে গেলো ৩০ সেপ্টেম্বর কোটি মানুষের হৃদয় ভেঙ্গে দেয় বিবিসি বাংলার একটি খবর। জানানো হয়, বন্ধ হচ্ছে বাংলাসহ ১০টি ভাষায় বিবিসির রেডিও সম্প্রচার। তারা আরো জানায়, বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মত বাংলাদেশেও বাড়ছে অনলাইনে, টেলিভিশনে আর সামাজিক মাধ্যমে খবর পড়ার চাহিদা। এতে ক্রমশ শ্রোতা হারিয়ে লোকসানের মুখে পড়ছে একসময়ের জনপ্রিয় এই গণমাধ্যমটি।
বিবিসি বাংলা’র এমন সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছেন দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার অসংখ্য মানুষ। বিভিন্ন মাধ্যমে উঠে এসেছে হতাশার গল্পগুলো ।
গত পনেরো বছরে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি জরিপ চালায় বিবিসি বাংলা। ২০০৭ সালে তাদের রেডিও শ্রোতা ছিল এক কোটি ৮০ লাখ। ১১ বছর পর ২০১৮ সালে যা নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৬ লাখে। আর এতেই পরিষ্কার হয়ে যায়, বন্ধ হচ্ছে বিবিসি বাংলা’র রেডিও সম্প্রচার।
বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে কোটি বাঙালির হৃদয়ে জায়গা করে নেয়া বিবিসি বাংলার শূণ্যতা পূরণে এগিয়ে আসতে হবে গণমাধ্যমকেই– এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।