fbpx

কোভিড টিকার চতুর্থ ডোজ দেয়ার সুপারিশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সম্মুখসারির যোদ্ধা, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও গর্ভবতীদের টিকার চতুর্থ ডোজ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বা ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ (নাইট্যাগ)। এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনাও চলছে বলে জানিয়েছে এ কমিটি।

বুধবার রাজধানীতে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন করোনার টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (মা, নবজাতক, শিশু ও কৈশোর স্বাস্থ্য) ডা. শামসুল হক।

তিনি জানান, করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেয়ার সুপারিশ করেছে নাইট্যাগ। টিকা দেয়ার জন্য সরকারের কাছে পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিলে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, গর্ভবতী নারী ও সম্মুখসারির করোনা যোদ্ধাদের শিগগিরই টিকার চতুর্থ ডোজ দেয়া শুরু হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৮৭ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজের করোনার টিকা পেয়েছে। ৭৩ শতাংশ দ্বিতীয় ও বুস্টার বা তৃতীয় ডোজ পেয়েছে ৫২ শতাংশ মানুষ। এ অবস্থায় সরকার ১ ডিসেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে পরিচালনা করবে বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন। এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৯০ লাখ মানুষকে টিকা প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ক্যাম্পেইনে শুধু দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

করোনা টিকার প্রথম ডোজের প্রয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করলেও যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে যে কেউ প্রথম ডোজের টিকা নিতে পারছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে শামসুল হক আরও জানান, টিকাদান কর্মসূচি চলবে ১-৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। টিকা নেয়া থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিদের টিকার আওতায় আনাই এ কর্মসূচির লক্ষ্য। সারা দেশের ১৫ হাজার ৯৮৪টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এ সময়ে প্রায় ৯০ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার লক্ষ্য রয়েছে।

সারা দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এবং মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে এ কর্মসূচি চলবে। সাতদিনে ছয়টি কর্মদিবস পড়বে। দুই ভাগে আমরা ভাগ করেছি। প্রথম দিন প্রচার হবে, পরের দিন ওই এলাকায় টিকা দেয়া হবে। তিনদিন প্রচার, তিনদিন টিকাদান, জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. শামসুল হক।

Advertisement
Share.

Leave A Reply