fbpx

কোস্ট গার্ডের জন্য পাঁচটি অত্যাধুনিক জাহাজ কমিশন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামুদ্রিক আইন প্রয়োগকারী বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (বিসিজি) বহরে স্থানীয়ভাবে তৈরি পাঁচটি অত্যাধুনিক জাহাজ কমিশন করেছেন।

পাঁচটি জাহাজের মধ্যে দু’টি হল উপকূলীয় টহল জাহাজ ‘বিসিজিএস জয় বাংলা’ এবং ‘বিসিজিএস অপূর্ব বাংলা’, দুটি টাগবোট ‘বিসিজিটি প্রত্যয়’ এবং ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং একটি ভাসমান ক্রেন ‘বিসিজিএফসি শক্তি’।

প্রধানমন্ত্রী আজ তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাহাজগুলো চালু করেন।
তিনি নতুন অত্যাধুনিক জাহাজের অন্তর্ভুক্তি চিহ্নিত করার জন্য পাঁচটি পৃথক ফলক উন্মোচন করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সালাম গ্রহণ করেন। বিসিজি পতেঙ্গা বার্থ প্রাঙ্গণে কমিশনিং অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

কমিশনিং প্যারেড শেষে বিসিজি মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

বিসিজি বহরে নতুন যুক্ত হওয়া জাহাজের একটি অডিওভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হয়। বিসিজির মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিসিজি পতেঙ্গা বার্থে আনুষ্ঠানিকভাবে জাহাজগুলোর কমিশনিং ফরমান (বিবৃতি) নিজ নিজ অধিনায়কের কাছে হস্তান্তর করেন।

পাঁচটি জাহাজের মধ্যে দুটি অভ্যন্তরীণ টহল জাহাজ ‘বিসিজিএস জয় বাংলা’ এবং ‘বিসিজিএস অপূর্ব বাংলা’ তৈরি করেছে নারায়ণগঞ্জের রাষ্ট্রায়ত্ত ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড এবং দুটি টাগবোট ‘বিসিজিটি প্রত্যয়’ এবং ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং ভাসমান ক্রেন ‘বিসিজিএফসি শক্তি’ তৈরি করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত খুলনা শিপইয়ার্ড।

মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে ‘বিসিজিএস জয় বাংলা’-এর ক্যাপ্টেন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, নতুন জাহাজগুলোতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, সেন্সর এবং নজরদারি রাডার রয়েছে।

তিনি বলেন, এই পাঁচটি জাহাজ চালু হলে বিসিজির অপারেশনাল কার্যক্রম ত্বরান্বিত হবে এবং বহির্নোঙরে বাণিজ্যিক জাহাজে চুরি রোধ, সমুদ্রপথে মানব ও মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণ, ব্লু- ইকোনমি সীমান্তে টহল বৃদ্ধি পাবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সামুদ্রিক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা সহজ হবে।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদৃষ্টির কারণে বাংলাদেশের নিজস্ব সামুদ্রিক এলাকার দাবি সন্নিবেশিত করে ‘টেরিটোরিয়ল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

বিসিজি কর্মকর্তাদের মতে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালে সংসদে ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বিল’ উত্থাপন করেন যখন তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন। তার প্রস্তাব অনুসরণ করে, বিসিজি ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

পরবর্তীতে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিসিজিতে নতুন প্ল্যাটফর্ম এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন যুক্ত করা হয়, যা বাহিনীর অপারেশনাল কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করে এবং ব্যাপক সাফল্য লাভ করে।

উপকূলীয় জলসীমায় সক্রিয় উপস্থিতি এবং সতর্ক নজরদারি হিসেবে সামুদ্রিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিসিজি সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণ, উপকূলীয় অঞ্চলে চোরাচালান প্রতিরোধ, মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, এবং বন সম্পদ সংরক্ষণে শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সাগর ও নদী সংলগ্ন এলাকায় পরিবেশ দূষণ রোধ এবং জাটকা ও মা ইলিশ ধরা বন্ধ এবং মানব পাচার রোধ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

কর্মকর্তারা জানান, বিসিজির নিরলস প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর ঝুঁকিপূর্ণ বন্দর থেকে ঝুঁকিমুক্ত বন্দরে পরিণত হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply