মহামারীর কারণে এক বছর ধরে বন্ধ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক সবাই উঠছেন হাঁপিয়ে। তবে মানতেই হবে করোনা পরিস্থিতি আগের তুলনায় এখন অনেক নিয়ন্ত্রণে। ভ্যাকসিনও এসেছে দেশে। দেশবাসীর কাঙ্খিত গন্তব্য হয়ে উঠেছে ভ্যাকসিন সেন্টার। এ পরিস্থিতিতে ৩০ মার্চ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আর শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ করতে বাড়তি ক্লাস নেয়ার কথা ভাবছে শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। তবে ক্লাস রুমে ফিরতে মানতে হবে বেশ কিছু স্বাস্থ্যবিধি।
শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সংক্রান্ত যে গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে, সেটি অনুযায়ীই ক্লাস নেওয়া হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হলে শিফট করে ক্লাস নেওয়া হবে। যেহেতু প্রথম থেকে চতুর্থ এবং ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন যাবে স্কুলে, তাই এই শিফটিং সহজ হবে।
সূত্র আরও জানায়, শিক্ষকরা প্রতিদিনই স্কুল-মাদ্রাসায় যাবেন। আর যাবে পঞ্চম, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। বেঞ্চগুলো বসানো হবে তিন ফুট দূরত্বে। পাঁচ ফুটের কম দৈর্ঘ্যের বেঞ্চে একজন শিক্ষার্থী এবং পাঁচ থেকে সাত ফুট দৈর্ঘ্যের বেঞ্চে বসবে দুজন শিক্ষার্থী।
এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর প্রথম দুই মাসের মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা বা মূল্যায়নের ব্যবস্থা রাখা যাবে না, যাতে শিক্ষার্থীর ওপর চাপ তৈরি হতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ স্বাস্থ্যগত সুরক্ষার দিকটি নিশ্চিত করেই সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। তাছাড়া আমরা সবাইকে একদিনে স্কুলে আনছি না। ইতিপূর্বে প্রকাশিত গাইডলাইনই আমরা অনুসরণ করছি। তাতে স্কুল-মাদ্রাসা পরিচালনার নির্দেশনা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে।’