fbpx

ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর কোনো সুযোগ নেই খালেদা জিয়ার

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার বাইরে আইনের অন্য কোনো বিধান দেখাতে পারলে আইন পেশা ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বুধবার সংসদ অধিবেশনে ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দেওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে। আইন অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার আর কোনো পথ খোলা নেই।’

সংসদ অধিবেশনে বাজেটের ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ও মোশাররফ হোসেন দলের চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি তুললে তার জবাবে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া যাবে কি যাবে না এই প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ওনার পরিবারের সদস্যরা দরখাস্ত করলেন। উনারা দরখাস্তে বলেছিলেন, উনাকে বিদেশ নিয়ে যেতে হবে। তাঁদের আবেদনে আইনের ধারার কথা উল্লেখ ছিল না। ওই আবেদন বিবেচনায় নিয়ে দুটো শর্ত দিয়ে তাঁর দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। শর্ত দুটো হচ্ছে, তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন ও দেশে থেকেই চিকিৎসা নেবেন। তারা এটা গ্রহণ করেছিল। তাঁকে কারাগার থেকে বাসায় নিয়ে গিয়েছিল।’
বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘বিএনপির নেতারা কথায় কথায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলেন। একটি আবেদন যখন নিষ্পত্তি হয়ে যায়, তখন সেটা কি আবার পুনর্বিবেচনা করা যায়? উনারা তো দরখাস্ত করে শর্ত মেনে মুক্ত করে এনেছেন। তারপর এখন বলছেন বিদেশে যেতে দিতে হবে। এটা কী রকম কথা! ওই দরখাস্ত তো নিষ্পত্তি হয়েই গেছে। সেটার ওপর তো আর কেউ কিছু করতে পারবে না।’

আইনগত বিধিবিধান সম্পর্কে বিস্তারিত বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্তি দিতে হলে, সেটা আইনের মাধ্যমেই করতে হবে। এ ক্ষেত্রে একটা উপায় আছে, তাঁরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন বা ৪০১ ধারায় সরকারের কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। ক্ষমার আবেদন বিবেচনা করা হলে তবেই সেই আসামি বিদেশে যেতে পারবেন। আর ক্ষমা চাইতে গেলে অবশ্যই দোষ স্বীকার করে চাইতে হবে। এ ছাড়া সংসদে বক্তৃতা দিয়ে বা অন্য উপায় থাকলে, আপনারা আইনটা দেখান। আইনে থাকার পরও যদি আমরা বিবেচনা না করি, তখন বলতে পারবেন।’

আইনে ছয়টি সাব-সেকশন আছে। এর মধ্যে কোথাও যদি দেখাতে পারেন আবার দরখাস্ত করতে পারবেন, আবার পুনর্বিবেচনা করা যাবে, তাহলে আইন পেশা ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

Advertisement
Share.

Leave A Reply