fbpx

কড়া পুলিশি পাহারায় শাওনের লাশ দাফন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে গুলিতে নিহত যুবদল কর্মী শাওন প্রধানের জানাজা ও লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মধ্যরাতে কড়া পুলিশি পাহারায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া একটায় তার লাশ দাফন করা হয়।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশের উপস্থিতিতে নিহত শাওনের বড় ভাই মিলন প্রধান ও মামা মোতাহার হোসেনের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। পরে পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পাহারায় শাওনের লাশ বাড়িতে নেওয়া হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে চিকিৎসকেরা শাওনের লাশের ময়নাতদন্ত করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শাওনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান ময়নাতদন্তের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক।

শাওনের চাচা ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়নের পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, রাত সোয়া একটায় নবীনগর শাহওয়াল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে শাওনের লাশ নবীনগর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জানাজায় তিনিসহ শাওনের আত্মীয়স্বজন এবং এলাকার প্রায় তিন থেকে চার শ লোক অংশ নিয়েছেন। এ ঘটনায় স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু বলেন, শাওনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হলে তারা রাতেই লাশ দাফন সম্পন্ন করেছেন।

উল্লেখ্য, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু ছাড়াও পথচারী-নারীসহ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ২৬ জন। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ লাঠিপেটায় পুলিশের সদস্যসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন।

এ সময় ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকা ও ২ নম্বর রেলগেট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে চারটি মোটরসাইকেলে আগুনসহ সাত থেকে আটটি যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

শাওন প্রধান ফতুল্লার এনায়েতনগর এলাকায় একটি কারখানায় ওয়েল্ডিং মিস্ত্রির কাজ করতেন। তার বাড়ি বক্তাবলী ইউনিয়নের পূর্ব গোপালনগর এলাকায়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply