fbpx

খালি বাসায় টাকাপয়সা-স্বর্ণালংকার রেখে না যাওয়ার অনুরোধ আইজিপির

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঈদের ছুটিতে খালি বাসায় স্বর্ণালংকার ও টাকাপয়সা না রেখে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

তিনি বলেন, ঈদে বাড়িতে যাওয়ার সময় ঢাকায় ফাঁকা বাসায় অনেকে স্বর্ণালংকার ও টাকাপয়সা রেখে যান। দেখা যায়, এসব বিষয়ে কাজের লোকসহ অনেকে জানে। এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। বাড়ি একেবারে ফাঁকা রেখে না যাওয়াই উচিত। যদি যান তাহলে গয়না ও টাকাপয়সা নিকট আত্মীয়স্বজন যারা ঢাকায় থাকবেন, তাদের কাছে রেখে যান অথবা সঙ্গে নিয়ে যান। এই লম্বা ছুটিতে এসব মূল্যবান সামগ্রী নিজের ফাঁকা বাসায় রেখে যাবেন না।’

বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ঘরে ফেরা মানুষের ঈদযাত্রা পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঢাকা ফাঁকা হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন হবে, সেটার জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। রাতের বেলা ও দিনের বেলায় নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। ঢাকা ছাড়াও বড় বড় শহরেও আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। আমরা দেখেছি ফাঁকা ঢাকায় অনেকে বাসা-বাড়ি পরিবর্তন ও ফার্নিচার পরিবর্তন করেন। এমন পরিবর্তন কেউ করতে গেলে নিরাপত্তা প্রহরীরা যেন তাদের প্রশ্ন করেন। পুলিশসহ আমরা সবাই সচেতন থাকলে ফাঁকা ঢাকাকে আমরা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিতে পারবো।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, প্রতিবছর আমরা ঈদের সময় নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে থাকি। রমজানের সময় সারা মাসজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকে। তার পাশাপাশি মার্কেটগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করি। এখন মানুষ আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে যাবেন, তাদের নিরাপত্তা, ট্রাফিক ব্যবস্থাসহ পর্যটন স্থানগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থার কথা বিবেচনা করে আমরা নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রণয়ন করেছি। পুলিশের সব ইউনিট এ সময় দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত থাকবে। আমাদের স্পেশাল টিমসহ পুলিশের সব ইউনিট ঈদে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়োজিত থাকবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় সাব-কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাব-কন্ট্রোল রুম করে আমরা নিরাপত্তা জোরদার করেছি। যাত্রীসাধারণ যেন দ্রুত নিরাপদে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পারেন, আমরা আমাদের সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। অন্যান্য বছর সারা দিন যাত্রী সাধারণদের রাস্তায় বসে থাকতে হয়েছে। সরকারের উদ্যোগে পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। আমরা জানি উত্তরবঙ্গের রাস্তারও অনেক উন্নতি হয়েছে। আগে চন্দ্রার মোড়ে ৮-১০-২০ ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। কিন্তু রাস্তার উন্নয়ন হওয়ায় যাতায়াত এখন অনেক সহজ হয়েছে।

আমরা পরিবহন কাউন্টারগুলোতে কথা বলেছি, এখনও তেমন যাত্রীর চাপ পড়েনি। সেহরির পর যাত্রীর চাপ বাড়বে। যাত্রীরা যেন নিরাপদে ভ্রমণ করে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পারেন, সে জন্য গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে। ঈদের জামাতের মাঠের নিরাপত্তাব্যবস্থা রেখেছি-যোগ করেন তিনি।

যাত্রীদের অনুরোধ জানিয়ে আইজিপি বলেন, আপনারা ভ্রমণকালে অপরিচিত কোনও মানুষের দেওয়া কিছু খাবেন না। এগুলো খেলেই অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা আছে। আমরা আশা করছি সাধারণ মানুষ কোনও ধরনের ঝামেলা ছাড়া ঈদযাত্রা করতে পারবেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply