বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ৯ দিনের কর্মসুচির ঘোষণা দিয়ে আগামীকাল মাঠে নামছে দলটি।
২৪ নভেম্বর (বুধবার) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে জানাতে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে। এসময় সিসিইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে ৯ দিনের কর্মসুচির পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানিয়েছে দিয়েছেন বিএনপি।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।
যে কর্মসূচি নিয়ে কাল থেকে মাঠে নামছে বিএনপি:
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) যুবদল ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে, ঢাকার কর্মসূচি জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে।
২৬ নভেম্বর সারাদেশে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
২৮ নভেম্বর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ করবে। ঢাকার কর্মসূচি হবে জাতীয় প্রেস ক্লাবে।
৩০ নভেম্বর বিভাগীয় সমাবেশ করবে বিএনপি।
১ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশে সমাবেশ করবে ছাত্রদল। ঢাকার সমাবেশ হবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে।
৩ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের পক্ষ থেকে সারাদেশে মানববন্ধন করা হবে। ঢাকার কর্মসূচি হবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে।
৪ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ঢাকাসহ সারাদেশে মৌন মিছিল করবে। ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কর্মসূচি পালন করা হবে।
কর্মসূচি ঘোষণা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সব কর্মসূচি ম্যাডামের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। এ কর্মসূচি পরিবর্তন হতে পারে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে যৌথসভায় অন্যান্যের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও অন্যান্যরা।