দীর্ঘ এক মাসের বেশি অপেক্ষার পর দূরপাল্লার বাস চালানোর অনুমতি দিয়েছে সরকার। আগামীকাল সোমবার থেকে কিছু শর্ত মেনে সব ধরনের গণপরিবহন চালুর আদেশ জারি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
তবে রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোকে শুধু গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগের মতোই মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন না রাইড শেয়ারিং কোম্পানির চালকেরা।
এদিকে পরিবহনমালিকেরা জানিয়েছেন, তারা আগামীকাল থেকে বাস চালাতে সব প্রস্তুতি নিয়েছেন।
রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সব ধরনের গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত দেয়। এরপর বিআরটিএ সোমবার থেকে ৩০ মে পর্যন্ত গণপরিবহন চালুর বিষয়ে নির্দেশনা জারি করে।
সেখানে বলা হয়েছে, মোটরযানের নিবন্ধন সনদে উল্লেখিত আসনসংখ্যার অর্ধেক ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহন করতে হবে। এর আগেও অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাস চলেছে। এর জন্য বর্তমান নির্ধারিত ভাড়া হারের অতিরিক্ত ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়। সেই বর্ধিত হারের চেয়ে বাড়তি ভাড়া নেওয়া যাবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রতি যাত্রার (ট্রিপ) শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে বাস জীবাণুমুক্ত করতে হবে। পরিবহনচালক, শ্রমিক ও যাত্রী—সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে। স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকতে হবে গণপরিবহনে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে।
রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোকেও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে রাইড শেয়ারিং সেবার আওতায় চলাচলকারী গাড়ি চলতে পারবে। তবে রাইড শেয়ারিংয়ে মোটরসাইকেল চলতে পারবে না বলে জানিয়েছেন বিআরটিএ কর্মকর্তারা।
