fbpx

গেরিলা ছিল আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবার কাছে সামান্য ঋণ স্বীকারের সুযোগ: জয়া

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু নির্মিত ‘গেরিলা’ সিনেমাটি মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত একটি আলোচিত সিনেমা। এই সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছিলেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। এটি ছিল জয়ার বড় পর্দায় প্রথম সিনেমা। সিনেমা মুক্তির ১২ বছর পর সিনেমাটি নিয়ে স্মৃতিচারণ করেলেন জয়া।

১৪ এপ্রিল এই অভিনেত্রী গেরিলা সিনেমা নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন নিজের ফেসবুক ওয়ালে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘কিছু কিছু ছবি থাকে, অভিনয় জীবন জুড়ে যার বিস্তর প্রভাব, যা ভালোলাগার, মাঝে মাঝেই স্মৃতিতে উজ্জ্বল।। কিন্তু কিছু ছবি অচিরেই জীবন হয়ে যায়। কিছু চরিত্রের হয়ে একটা অন্য জীবন বেঁচে নেওয়া যায়।। এক যুগ আগে, এই দিনে মুক্তি পাওয়া, মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত গেরিলা ছবিটি তেমনি একটি ছবি।আর বিলকিস আমার কাছে তেমন একটি রক্ত মাংসের চরিত্র। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আজ আমার দেশে স্বাধীনতার আলো হয়ে প্রতি বাঙালীর মনে জ্বলছে। সেই মুক্তিযুদ্ধের এমন বাঙ্ময় পরিবেশনা, সত্যি আজও শিহরিত হই।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘এই চলচ্চিত্রের অংশ হতে পারা আজ ১২ বছর পরেও আমার জন্য বড় আপন এক অনুভূতি। ১২ বছরে সময় অনেক বদলেছে, ১২ বছরে প্রযুক্তির ঘোড়া দৌড়ে এগিয়ে গেছে অনেক টা পথ, কিন্তু অনুভূতির বিন্দু বিন্দু জুড়ে গেরিলা ছবির স্মৃতি গুলো আজও জীবন সমার্থক, এই অনুভুতির কোনো পরিবর্তন নেই।’

এই অভিনেত্রী এরপর লিখেছেন, ‘আমার অভিনয় করা বিলকিস বানু চরিত্রে উঠে এসেছিল মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য মেয়ের সাহসী অবদানের গল্প। উপন্যাসে এ চরিত্র তৈরি করেছিলেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, আর পর্দায় -পরিচালক নাসিরউদ্দীন ইউসুফ। গেরিলা ছিল এই দুই মানুষের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানানোর উপলক্ষ। একই সঙ্গে ছিল আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবার কাছে সামান্য ঋণ স্বীকারের সুযোগ।’

জয়া লেখেন, ‘কে যে আজ এই লেখা লিখছে, জয়া না বিলকিস জানি না, তবে এটুকু নিশ্চিত করে বলতে পারি, এই দুই সত্ত্বার মাঝে দেশ নামক ভাবনা খানি মিলেমিশে এক মুগ্ধবোধ হয়ে আছে।নিরন্তর ভালোবাসা নাসিরউদ্দিন ইউসুফকে, আমার অভিনয়–জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়  গেরিলা। টেলিভিশন ছেড়ে আমাকে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করার সাহস দেয় গেরিলা। নববর্ষ সত্যিই জীবনের এক নতুন সম্ভাবনা।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply