fbpx

‘গোল্ডেন ভিসা’ বন্ধ করে দিয়েছে পর্তুগাল

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

‘গোল্ডেন ভিসা’ প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে পর্তুগাল সরকার। আবাসন সংকটের মধ্যে পড়ে এই ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। খবর রয়টার্স।

পর্তুগালে ২০১২ সালে চালু করা হয়েছিল গোল্ডেন ভিসা। এই প্যাকেজের আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশের নাগরিক নন, এমন কেউ পর্তুগালে আবাসন খাতসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করলে তাকে ইইউ পাসপোর্ট দেওয়া হতো। চালু করার পর থেকে প্রায় ৩০ হাজার বিদেশি নাগরিককে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যাদের অধিকাংশ চীন, ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক।

তবে সম্প্রতি এই ভিসা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে পর্তুগিজ সরকার। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাসা কিনতে থাকায় স্থানীয়ভাবে বেড়ে যায় দাম। এমনকি বাসা ভাড়াও বাড়ে। শুধু লিসবন শহরেই গত বছরের তুলনায় ৩৭ শতাংশ বাসা ভাড়া বেড়েছে। এর মধ্যে যোগ হয়েছে মূল্যস্ফীতি। সম্প্রতি পর্তুগালের ৮ দশমিক ৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতির কারণে সমস্যা আরো বাড়ে।

এর মধ্যেই গোল্ডেন ভিসা প্রকল্প বন্ধ করলো পর্তুগাল সরকার। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার পর্তুগাল সরকারের তরফ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। একই সঙ্গে এয়ারবিএনবির মতো নতুন পর্যটন সংস্থাকে লাইসেন্স না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

সংকট মোকাবিলায় পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা ৯০ কোটি ইউরো তহবিল ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, বাসা ভাড়া বৃদ্ধির লাগাম টানার জন্য একটি ব্যবস্থা চালু করা হবে। সেটি হচ্ছে, পর্যটন বাড়িগুলোকে যারা স্থানীয় লোকজনদের ভাড়া দেওয়ার জন্য ব্যবহার করবেন, সেসব বাড়ির মালিকদের ট্যাক্স প্রণোদনা দেবে সরকার। এ ছাড়া এয়ারবিএনবির মতো পর্যটন বাসস্থানকেন্দ্রিক নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়া হবে না।

আবাসনের ঘাটতি মেটাতে কস্তা বলেছেন, তাঁর সরকার পাঁচ বছরের জন্য বাড়িওয়ালাদের কাছ থেকে সরাসরি খালি বাড়ি ভাড়া নেবে এবং স্থানীয়দের ভাড়া দেবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply