fbpx

চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ শুরু, স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে শুক্রবার সারাদিন চট্টগ্রান শহরে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তবে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হয়েছে চট্টগ্রামে।

তবে আজ শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত গ্যাসের চাপ না থাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। দুপুরের পর থেকে গ্যাসের চাপ বাড়বে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) কর্তৃপক্ষ।

কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে ত্রুটির কারণে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছিল। এতে শুক্রবার ভোর থেকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চট্টগ্রামবাসীকে। বাসার রান্না, গাড়ির গ্যাস থেকে শুরু করে শিল্প প্রতিষ্ঠানে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (অপারশেন) গৌতম কুন্ডু বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতের পর শুক্রবার রাত সোয়া দশটার দিকে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। যেহেতু গ্যাসলাইন পাইপ একেবারেই খালি এবং অনেক দূর থেকে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে, সে কারণে নগরীর সব জায়গায় গ্যাস পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগছে। তবে শনিবার দুপুরের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

প্রায় তিন মাস ধরে চট্টগ্রামের অধিকাংশ বাসাবাড়িতে গ্যাস সংকট চলছিল। হঠাৎ করেই পুরোপুরি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়ে দুর্ভোগ। শুক্রবার দিনভর ফিলিং স্টেশনগুলোর সামনে গ্যাসের জন্য অপেক্ষায় ছিল শত শত সিএনজি অটোরিকশা। গ্যাস না পেয়ে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েন তারা যার প্রভাব পড়ে সড়কে। একই কারণে চট্টগ্রামের ছোট বড় শত শত শিল্প প্রতিষ্ঠানও বন্ধ হয়ে যায়।

কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড জানায়, মহেশখালীতে ভাসমান দুটি টার্মিনালের একটিতে অক্টোবর থেকে সংস্কার চলছে। একটি টার্মিনালে বৃহস্পতিবার রাতে ত্রুটি দেখা দিলে পুরো চট্টগ্রামে বন্ধ হয়ে যায় গ্যাস সরবরাহ।

পেট্রোবাংলা থেকে জানানো হয়, ১০০ এমএমসিএফডি স্থায়ী হলে পরবর্তী ১০০ এমএমসিএফডি সরবরাহ করবে। শনিবার সকালে ৩০০ এমএমসিএফডি সরবরাহ করার ব্যাপারে আশাবাদী পেট্রোবাংলা। পরবর্তী ১২ ঘণ্টা পর পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply