fbpx

ছাত্রলীগের সহায়তায় অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত রাবি উপাচার্য

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার সিনেট ভবনে প্রায় দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর সেখান থেকে মুক্ত হয়েছেন। ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর সহায়তায় তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে তার বাসভবনে গিয়ে অবস্থান নেন। রাবির বিনোদপুর গেট এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় জের ধরে শিক্ষার্থীরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বিভিন্ন দাবি নিয়ে স্লোগান দিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী সিনেট ভবনে ভিসিকে অবরুদ্ধ করে। সেখান থেকে দুপুর ২টার কিছু পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে বাসভবনে নিয়ে যায়। সেখানে ২৫-৩০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।

এর আগে উপাচার্য ‘সাবাস বাংলাদেশ’ পাদদেশে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা ভিসিকে বিনোদপুর গেট এলাকায় যেতে বলেন। কিন্তু সব শিক্ষার্থী সেখানে গেলে ফের পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এই আশঙ্কায় তিনি শিক্ষার্থীদের প্রস্তাব নাকচ করে দেন।

এ সময় কিছু শিক্ষার্থীকে মাঠ ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে গিয়ে ভাঙচুর করতে দেখা যায়। দুপুরের পরও কয়েকজনকে সেখানে অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে ছোট ছোট যানবাহন চললেও বাস চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। দুপুরের পর উত্তেজনা থাকলেও পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

দুপুরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোনো ঝামেলা নেই। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি; অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, বাসের যাত্রী একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের ভাড়া ও সিটে বসা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষের সূচনা হয়। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ, হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটের পাশে সীমানা প্রাচীর লাগোয়া বেশ কয়েকটি দোকানপাটে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিছু দোকানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আগুন দেওয়া হয়েছে বিনোদপুর গেট সংলগ্ন পুলিশ বক্সেও।

চার ঘণ্টার অধিক চলা সংঘর্ষের সময় ইট-পাটকেল, কাঁদুনে গ্যাস ও রাবার বুলেটের আঘাতে আহতরা ভোর রাত পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়। তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ও অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

রবিবার দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, আহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন আইসিইউতে আছেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply