জয় দিয়েই বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটা ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলালেও শেষ হাসিটা হেসেছে টাইগারাই। শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে হ্রদয়-মাহমুদউল্লাহরা। এক ধাপ এগিয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবার পথে।
শনিবার টেক্সাসের গ্রান্ট প্রেইরি স্টেডিয়ামে টসে জিতে শ্রীলঙ্কাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মুস্তাফিজ-রিশাদের বোলিং তোপে ৯ উইকেটে ১২৪ রান তুলতে পারে লঙ্কানরা।
১২৫ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। শুরুতে চাপ নিতে পারেননি টপ অর্ডারে নামা সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
ইনিংসের তৃতীয় বলেই ক্যাচ অনুশীলন করিয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। ২ বলে ০ রানে ফেরেন তিনি। থিতু হতে পারেননি তানজিদ তামিমও, পরের ওভারে ৬ বলে ৩ করে নুয়ান তুষারার শিকার তিনি।
৬ রানে জোড়া উইকেট হারানোর ধাক্কা কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাস। তবে বড় হয়নি এই জুটিও, ২২ বলে ২২ রান আসে এই যুগলবন্দীতে। ৫.২ ওভারে দলীয় ২৮ রানে ফেরেন শান্ত। ১৩ বলে ৭ রান করেন তিনি।
তবে সেখান থেলে দলকে টেনে তুলেন লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়। দু’জনের জুটিতে জয়ের পথেই ছুটে বাংলাদেশ। যেখানে একটু বেশিই আগ্রাসী ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। হাসারাঙ্গার করা ১২তম ওভারে পরপর তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকান তিনি। যদিও ফিরতে হয় এরপরই।
হৃদয়ের ইনিংস থামে দলীয় ৯১ রানে। ২০ বলে ৪০ রান তুলে আউট হন তিনি। জয়ের জন্য তখন বাংলাদেশের প্রয়োজন ৫০ বলে ৩৪ রান। তবে এই সমীকরণ কঠিন হয়ে পড়ে ১৪. ১ ওভারে লিটন ফিরলে। এই ব্যাটার আউট হন ৩৮ বলে ৩৬ রানে।
শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহর স্নায়ু ধরে রাখা ব্যাটিং বাংলাদেশকে উদ্ধার করেছে। ১৩ বলে ১৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। ১৯ ওভারে ৮ উইকেটে বাংলাদেশের ইনিংস দাঁড়ায় ১২৫ রানে। ১ ওভার বাকি থাকতেই নিশ্চিত হয় জয়।