দ্বিতীয়বারের মতো জাপানের ওপর দিয়ে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া।
বিবিসির খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৪৮ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের আকাশসীমা পার হয়। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানায়। এছাড়া উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়বে বুঝতে পেরে জাপানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনেও সতর্কতা জারি করা হয়। এতে জাপান সরকার মধ্য জাপানের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোঁড়ার প্রায় ২৫ মিনিট পর জাপানের কোস্ট গার্ড জানায়, সেটি প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা উত্তর কোরিয়ার কর্মকাণ্ডকে আপত্তিকর বলে অভিহিত করে জানিয়েছেন, সরকার এ-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ চালিয়ে যাবে।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া থেকে বারবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মুখে জাপান তার প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার জন্য পাল্টা-আক্রমণ ক্ষমতাও পরীক্ষা করবে।
এর আগে ২০১৭ সালে জাপানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল উত্তর কোরিয়া। এর পাঁচ বছর পরে এসে ২০২২ সালে ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো। দেশটির ব্যালিস্টিক ও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞাকে থোড়াই কেয়ার করছে দেশটি।
বুধবারও বিভিন্ন ধরনের অন্তত ২৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে উত্তর কোরিয়া। এর মধ্যে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমার কাছাকাছি এসে পড়ে।
কোনো ধরনের পূর্বসতর্কতা-আলোচনা ছাড়াই অন্য কোনো দেশ অভিমুখে বা দেশের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়াটা আন্তর্জাতিক রীতিনীতির সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। বেশির ভাগ দেশ এ ধরনের কর্মকাণ্ড পুরোপুরি এড়িয়ে যায়। কেননা, এটি নিয়ে সহজেই ভুল–বোঝাবুঝি হতে পারে। একে অত্যন্ত উসকানিমূলক কাজ হিসেবে দেখা হয়ে থাকে।